পৃথিবীর বুকে প্রত্যেক মানুষই সুখ-শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের মতবাদ, জাতি, বর্ণ, উৎপত্তি, লক্ষ্য- উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন সবাই একটি উদ্দেশ্যে একমত, তা হলো সুখ ও প্রশান্তি তালাশ করা।
যদি কোন লোককে জিজ্ঞেস করঃ তুমি এ কাজটি কেন কর? উহা কি কারণে করবে? সে বলবেঃ সুখ-শান্তির জন্য!! চাই তা শব্দগতভাবে বলুক বা অর্থগতভাবে বলুক। শান্তির প্রকৃত বা রূপক যেকোন অর্থেই হোক।
তাহলে সুখ-শান্তি কি? কিভাবে ইহা পাওয়া যায়?
সুখ হলো আনন্দ, প্রশান্তি, ঔদার্য ও প্রফুল্লতার ধারাবাহিক অনুভূতি। এ সুখানুভূতি তিনটি জিনিসের স্থায়ী অনুভূতির ফলে আসে, তা হলোঃ আত্মার উৎকৃষ্টতা, জীবনের উৎকৃষ্টতা ও শেষ পরিণতির উৎকৃষ্টতা।
মানুষ নিজেকে এ তিনটি বিষয়ের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন করে। সে যত বড় হয় তার প্রশ্নগুলো ততই বাড়তে থাকে। তার মনের মধ্যে ঘুর্ণায়মান এসব প্রশ্নের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত সে সুখ-শান্তি লাভ করতে পারেনা। সেগুলো হলোঃ
-কে এ মহাবিশ্বের মালিক? কে ইহা পরিচালনা করেন?
-কে আমাকে সৃষ্টি করেছেন? কে আমার চারপাশের এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন?
-আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কেন আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আমি কোথায় যাব?
যখনই মানুষের নিজের ও জীবনের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় তখনই এ সব প্রশ্নগুলো তার চিন্তা ভাবনার মাঝে বার বার ঘুরতে থাকে। যতক্ষণ না এ সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পাওয়া না যায় ততক্ষণ সে প্রশান্তি লাভ করতে পারেনা।