সমাজে দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা

সমাজে দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা

সমাজে দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা

সমাজে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা কি?

$Ernest_Renan.jpg*

আর্নেস্ট রিনান

ফরাসি ইতিহাসবিদ
স্পষ্ট প্রমান
“আমাদের পছন্দের সব কিছু ম্লান হয়ে যাওয়া এবং বুদ্ধি, জ্ঞান ও শিল্পের স্বাধীনতা শেষ হয়ে যাওয়া সম্ভব কিন্তু ধর্মাচার মুছে যাওয়া সম্ভব নয়। বরং যে বস্তুবাদ মানুষকে জাগতিক জীবনের হীন অঙ্গনেই কোনঠাসা করে রাখতে চায় তার অসারতার স্পষ্ট প্রমান হয়ে ধর্ম টিকে থাকবে।

ব্যক্তির জন্য যখন দ্বীন বা ধর্ম অত্যাবশ্যক তখন সমাজের জন্য দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী।কেননা ধর্ম হলো সমাজ রক্ষার ঢাল স্বরূপ। যেহেতু পরস্পরের ভালকাজে সহযোগীতা ছাড়া মানবজীবন চলতে পারেনা। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। (মায়েদাঃ ২)

আর এ সহযোগীতা একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা ছাড়া সম্ভব নয়, যা তাদেরকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য, ও অধিকার ইত্যাদি নির্ধারণ করে দিবে।

এ ব্যবস্থা এমন একজনের পক্ষ থেকে আসতে হবে যিনি মানবজাতির সব ধরনের প্রয়োজন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও জ্ঞাত। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ যিনি সৃষ্টি করেছেন,তিনি কি জানবেন না? তিনি সূক্ষ্মজ্ঞানী, সম্যক জ্ঞাত। (মুলকঃ ১৪)

যখনই মানবজাতি দ্বীন, শরিয়ত ও ইহার ব্যবস্থাপনা থেকে পথচ্যুত হবে, তখনই সে সন্দেহ, ভ্রষ্টতা, ঘুর্ণিপাক, অস্থিরতা, দুঃখ ও দুর্দশায় পতিত হবে।

সমাজে স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য ধর্মের প্রভাব

$felip-hata.jpg*

ফিলিপ হিট্রি

লেবাননের ইতিহাসবিদ
সত্য শরিয়া
“ইসলামই শরিয়া ধর্মীয় কি এবং পার্থিব কি এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য করেনা। তা আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক, আল্লাহর প্রতি তার কর্তব্য বিবৃত করে সুবিন্যস্ত করে। একই ভাবে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কও বিবৃত করে। দীন দুনিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর সব বিধি নিষেধ কোরআনে বিদ্যমান আছে। কোরআনে ছ্য় হাজার বা তারও বেশী আয়াত আছে। এর মাঝে প্রায় এক হাজার আয়াত শরিয়তের বিধি-বিধান সংক্রান্ত।”

দ্বীনের শক্তির মত কোন শক্তি পৃথিবীর বুকে নেই, তদ্রুপ দ্বীনের নিয়মকানুনের মত সম্মানযোগ্য কোন কানুনও নেই। সমাজের নিরাপত্তা ও শান্তির গ্যারান্টি একমাত্র দ্বীনই দিতে পারে। দ্বীনই পারে সমাজে আরাম ও শান্তি দিতে। এর গুরু রহস্য হলো, মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা, যেহেতু তার চলাফেরা, আচার আচরণ ইত্যাদি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে এমন জিনিস যা শ্রবণ ও দৃষ্টির বাইরে।আর তা হলো, এমন ঈমানী বিশ্বাস যা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, অঙ্গ প্রতঙ্গকে পবিত্র করে এবং তাকে প্রকাশ্য বিষয়গুলোর মত গোপনীয় সব বিষয়েও সচেতন করে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ যদি তুমি উচ্চকন্ঠেও কথা বল,তিনি তো গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তু জানেন। (ত্বহাঃ ৭)

$Thomas_Arnold.jpg*

টমাস আর্নল্ড

ব্রিটিশ প্রাচ্যবিশেষজ্ঞ
এমন ধর্ম খাম-খেয়ালীর কোন জায়গা নেই
“আমরা মনে করি, মুহাম্মাদ সঃ মদিনাতে যে উষ্ণ স্বাগতম পেয়েছিলেন এর অন্যতম কারণ হল, মদিনার জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছে মনে হয়েছে ইসলামে দীক্ষিত হওয়া হল, মদিনায় বিরাজমান বিশৃঙ্খলার সমাধান। কারণ তারা ইসলামে দেখতে পেয়েছিল জীবনের শক্ত নিয়ন্ত্রণ, এবং মানুষের অবাধ প্রবৃত্তি একটি সুবিন্যস্ত নিয়ম নীতির আওতাধিন। তা এমন ক্ষমতা কর্তৃক প্রণীত যা ব্যক্তি প্রবৃত্তির উর্ধ্বে। “

অতএব মানুষ সর্বদাই তার সঠিক বা ভ্রান্ত আকিদার দ্বারা পরিচালিত। যখন তার আক্বীদা সঠিক হবে, তখন তার সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে। আর যখন তার আক্বীদা ভ্রষ্ট হবে তখন তার সব কিছুই ভ্রান্ত ও ভ্রষ্ট হবে। মানুষের মাঝে ন্যায়পরায়ণতা ও সমতা বিধানের ক্ষেত্রে দ্বীন হলো উত্তম রক্ষক। এজন্যই ইহা সমাজের জন্য আবশ্যক। একথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যে, শরীরে ক্বলবের যেমন স্থান তেমনি সমাজে দ্বীনের স্থান।

$Floter.jpg*

ভলতেয়ার

ফরাসি দার্শনিক
আপনাদের বিবেগ কোথায়?
“কেন তোমরা আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে সন্দেহ সৃষ্টি কর? তিনি যদি না থাকতেন তবে আমার স্ত্রী আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করত এবং আমার সেবক আমাকে চুরি করে নিয়ে যেত।”

দ্বীনের যখন এত গুরুত্ব , আবার দেখা যায় বিশ্বে নানা ধর্ম ও মতবাদ রয়েছে এবংপ্রত্যেক জাতিই তাদের ধর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট আছে; তাহলে কোনটি সঠিক দ্বীন যা মানবাত্মার সব ধরণের প্রয়োজন মিটাতে পারে। আর সঠিক দ্বীনের শর্তাবলী ও নিয়মাবলীই বা কি?




Tags: