রাশেদ ও মাইকেল তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময়মত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রেলগাড়ির ষ্টেশনে মিলিত হল। রেলগাড়ি রওয়ানা হওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য তারা বসার সিট খুঁজছিল।
মাইকেলঃ আমি মনে করি নারীর পোশাক নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা করার সময় হবে, তুমি প্রথমেই হিজাব বা পর্দা নিয়ে বলবে...তাই না?!
রাশেদঃ অনেক মানুষই মনে করে থাকেন যে, পর্দা হলো শুধুমাত্র একটা চাদর এবং মাথা ঢেকে রাখা, তাদের অনেকেই জানেন না যে, পর্দা হল একটি স্বকীয় চিন্তা, সামাজিক নিয়ম নীতি... আমাদেরকে এ বিষয়ের প্রতি এ দৃষ্টিভঙ্গিতে লক্ষ্য করতে হবে।
মাইকেলঃ আমার মনে হয় তুমি বিষয়টি জটিল করে তুলছ। বেশি গুরুত্ব দিয়েছ, যা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়!
রাশেদঃ আমরা মানুষকে তাদের শরীর ঢেকে রাখার ব্যাপারে বিভিন্ন রকম দেখে থাকি। প্রত্যেকে মনে করেন যে, তার সীমানাই উন্নতি ও সভ্যতা। আবার অনেকে মনে করেন যে, অন্যজন খুব অনগ্রসর ও মৌলবাদী। আবার এদের দেখে অন্যরা মনে করেন যে, তারা ভ্রান্ত ও বিভ্রাটগ্রস্থ। প্রত্যেক দলের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের নিজস্ব মুল্যবোধ ও চিন্তাধারা অনুযায়ী হয়ে থাকে। এজন্যই আমাদেরকে একটি কেন্দ্রবিন্দুতে একমত হতে হবে যা শরীর ঢাকার ক্ষেত্রে পোশাকের সাধারন গুনাবলী নির্ধারণ করে দিবে।
বিষয়টি আমি তোমাকে যেভাবে বলছি যে, এটা ব্যাপক। এজন্য এসো,আগে আমরা কতিপয় মৌলিক ভিত্তির উপর একমত হই, এতে হয়তো আমাদের উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত কাছাকাছি হবে।
মাইকেলঃ ঠিক আছে।
রাশেদঃ আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমরা একমত যে, মানুষের আসল গঠনপ্রনালী, বাস্তবতা ইত্যাদি পরিপূর্ণভাবে না জেনে মানব জীবনের কোন সমস্যার সমাধান বের করা যায় না।
মাইকেলঃ অবশ্যই।
রাশেদঃ আমি আরো মনে করি বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতি ও ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে, মানুষের জ্ঞান সীমিত। মানুষ কাল যা জানতনা আজ তা জানতে পারে, কাল সে যা সঠিক মনে করেছিল আজ তাই পুনঃসংশোধন করে। এমনিভাবে আগামী কাল সে আবিষ্কার করবে যে, সে আজ অজ্ঞ ছিল বা কমপক্ষে সীমিত জ্ঞানের অধিকারী ছিল। আর একথাটাই মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছেঃ আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে”। (সুরা বনী ইসরাঈলঃ ৮৫)
মাইকেলঃ আমি তোমার সাথে একমত, তবে এ সবের সাথে আমাদের আলোচ্য বিষয়ের সম্পর্ক কি?
রাশেদঃ বন্ধু একটু ধৈর্য ধর, এখনো আমি কথা পূর্ণ করিনি... যখন আমরা এ কথায় একমত হলাম, তখন স্বভাবত আমরা আরেকটি কথা স্বীকার করব যে, এমন অনেক বিষয় আছে যার মাঝে সূক্ষ্ম, গোপনীয় ও অনেক দিক থাকে যার গভীরে আমরা পৌঁছতে পারিনা। এটা শুধু মাত্র আমাদের ব্যক্তিগত প্রবৃত্তি, ঝোঁক ও পরিবেশের প্রভাব দিয়ে ব্যাখ্যা করে থাকি। কারণ, এগুলোর প্রভাব হতে দূরে থাকা কঠিন। আর এ ধরনের বিষয়ে যখন আমরা এসব কিছুর প্রভাব নিয়ে সমাধান করতে যাই তখন সেটা হয় অসম্পুর্ণ বা;, বরং কখনো কখনো সঠিক সমাধানের বিপরীতটাও হতে পারে।
মাইকেলঃএটা যুক্তিসম্মত ফলাফল। কিন্তু অন্য দিক থেকে জ্ঞানের (আ’কল) ব্যবহার করে কোন চিন্তা গবেষণা, তথ্য, গভীর অনুসন্ধান, ভুল ও সঠিক বুঝা ইত্যাদি করা ছাড়াতো আমাদের কোন উপায়ও নেই। কোন এক সময় হয়তো মানুষ এর মূল তত্ব অনুধাবন করে সঠিক সমাধান দিতে পারবে- একথা ভেবে সমাধান ছাড়া রেখে দেয়ার চেয়ে এটা তো উত্তম।
রাশেদঃ তাহলে তুমি আমার সাথে স্বীকার কর যে, এ সব সমাধানে অতি বাড়াবাড়ি বা ছাড়াছাড়ি হয়ে থাকে, কিন্তু তুমি এ ব্যাপারে অপারগ এবং আমাদের সামনে এ ছাড়া আর কোন পথ নেই।
মাইকেলঃ হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি।
রাশেদঃ কিন্তু আমাদের কাছে এসব এড়াতে অন্য ভাল পথ রয়েছে!
মাইকেলঃ“আমাদের কাছে” বলতে কি বুঝাতে চাও? কি সমাধান আছে?
রাশেদঃ আমি এর দ্বারা মুসলমানদেরকে বুঝেয়েছি, আমাদের কাছে মানবজাতির উত্তরণের ভাল সমাধান আছে। এক কথায় এ সমাধান হল যিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের সব ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত। যেমন আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “যিনি সৃষ্টি করেছেন,তিনি কি জানবেন না? তিনি সূক্ষ্নজ্ঞানী,সম্যক জ্ঞাত”। (সুরা মুলকঃ ১৪)।
তিনি একমাত্র স্রষ্টা যিনি মানুষের সব গুনাবলী, প্রয়োজন, কল্যান ও অকল্যান ইত্যাদি জানেন। আর তিনি মানবজাতির সব ধরনের চাহিদা, আবেগ অনুভূতি, আকর্ষণ ইত্যাদি থেকে পবিত্র। এজন্যই একমাত্র তিনিই মানবজাতির কল্যানে ন্যায় ও বিজ্ঞভাবে একটি জীবনবিধান দিতে সক্ষম। আর একথাটিই পবিত্র আল কোরআনে স্পষ্টভাবে বলে হয়েছে...
মাইকেলঃ(কথার মাঝে)ঃ তোমার কথাগুলো সুবিন্যস্ত হে রাশেদ! তবে তুমি ভুলে যেওনা যে, আমি তোমার ধর্মে বিশ্বাস করিনা, ফলে আমি যা বিশ্বাস করিনা তা আমার উপর চাপিয়ে দিওনা.. বরং আমরা যে ব্যাপারগুলোতে একমত হয়েছি সেগুলো নিয়েআলোচনা কর...
রাশেদঃ যদিও এ বিধানটি প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে স্থায়ীভাবে স্বীকৃত আছে এবং আমি মনে করি এ বিশ্বাসটা প্রত্যেক মানুষেরই থাকা উচিত; তবুও তুমি যেভাবে চাও আমরা সেভাবেই আলোচনা চালিয়ে যাতে পারি, এতে আমার কোন বাধা নেই। তবে সেটা হতে হবে আমাদের উভয়ের পরিতুষ্টির আলোকে তথা সামাজিক নিয়ম নীতির সীমারেখায়। আর আমি ইতিপূর্বেউল্লেখ করেছি যে, পর্দা হল সে সামাজিক নিয়মের একটি অংশ।
মাইকেলঃকোন অসুবিধে নেই।
রাশেদঃ আমি গত আলোচনায় বলেছিলাম যে, আমরা মানুষের দৈহিক ও প্রানীসুলভ স্বভাবেরবিষয়টিকে ভুলে যেতে পারিনা। পুরুষেরা স্বভাবতই নারীর প্রতি আকর্ষিত হয়। প্রথমতঃ নারীর দেহ তাকে আকর্ষন করে। ফলে খোলামেলা পোশাক তাকে উত্তেজিত করে, ধর্ষন, ইভটিজিং ইত্যাদির প্রতি উৎসাহিত করে।
মাইকেলঃকিন্তু আমি মনে করি এধরনের চিন্তাভাবনা নারী-পুরুষের জন্য এক ধরনের অপমান । নারীর দৈহিক দিকটাতে মননিবেশ করা আর তার জ্ঞান গরিমা, সংস্কৃতি, নীতি নৈতিকতাকে ভুলে যাওয়া এটা নারীর প্রতি পুরুষের তুচ্ছজ্ঞান ও অবমাননা মাত্র। আরো এধরনের চিন্তা করা যে, নারীরা তেমন কিছু জানেনা, তারা নিজেদেরকে হেফাযত করতে সক্ষম নয়। আর পুরুষের জন্য অপমানজনক হল, তার ক্ষেত্রে এভাবে চিন্তা করা যেন সে এমন একটা হিংস্র বাঘ, শিকারকে যৌন আক্রমন করাই যার একমাত্র লক্ষ্য।
রাশেদঃ হে বন্ধু তুমি কি মনে কর, যখন কোন নারীআয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে সুন্দর করে সাজে, উগ্র পোশাক পরে তখন সে এসব করে পুরুষের উঁচু জ্ঞান ও মহান চরিত্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য? নাকি তারাপুরুষের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য না হলেও কমপক্ষে পুরুষের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য এসব করে থাকে। তুমি কি মনে কর যে, কোন সুসজ্জিতা সুন্দরী নারীকে প্রথম নজরে দেখা মাত্র কোন পুরুষ তার জ্ঞান-গরিমা, উন্নত সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করে?!
আমরা সকলেই জানি, কামভাব, উত্তেজনা, নিজেকে দমন ইত্যাদির বিচারে মানুষের মাঝে অনেক শ্রেণী রয়েছে। আবার সম্মান, মর্যাদা, উন্নত চরিত্র ও আদবের ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন শ্রেণীর। পর্দা দ্বারা বোঝা যায় যে, পর্দাশীলা নারী চরিত্রবতী, সে তাকে ইভটিজিং করার জন্য পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তাদেরকে উত্তেজিত করতে চায়না। আর দুর্বলচিত্ত ও দুশ্চরিত্রদেরকে তার থেকে ফেরানোর জন্য এটা কার্যকরী।পবিত্র আল কোরআন স্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছে যে, পর্দা হল নারীকে পাপিষ্ঠদের থেকে রক্ষার মাধ্যম।
মাইকেলঃকিন্তু কিছু কিছু বোরকা পড়া মেয়েদের আচরন দেখা যায় সচ্চরিত্র বিরোধী। এতে বুঝা যায় যে, ব্যাপারটা শুধু হিজাব পরার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদেরকে উত্তম শিক্ষা ও সুন্দর আখলাক ও শিক্ষা দেয়া উচিত।
রাশেদঃ তোমার কথা কিছুটা সত্য। একথা কেউ বলেনা যে, একজন নারী এক টুকরা চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখলেই সে একজন সুচরিত্রা নারী হবেন, কিন্তু এটার অর্থ এও নয় যে হিজাব পরবেনা। যেমনঃ কোন লোক ডাক্তারের বেশ ধরল, বা কোন ডাক্তার ভুল করল, অথবা এ পেশাকে অপব্যবহার করল, এতে কিন্তু এ ডাক্তারী পেশাকে দোষারোপ করা যাবেনা। বরং যে ব্যক্তি ভুল করেছে তাকে সংশোধণ করতে হবে। অতএব, এ ডাক্তার, পর্দাকারী বা অন্য কেউ সর্বোপরি একজন মানুষ, তার রয়েছে মানবিক দুর্বলতা।
অন্যদিকে, ইসলাম অপকর্ম ও খারাপ কাজ থেকে হিফাযতের জন্য যখন হিজাবের বিধান প্রবর্তন করেছে, সাথে সাথে আবার উত্তম চরিত্র ও সুচিন্তার ব্যবস্থাও করেছে, যাতে একজন মানুষ সম্মানের চরম শিখরে উঠতে পারে। সংক্ষেপে বলা যায় যে, একজন সম্মানিতা নারী হিজাব পরিহিতা হন, পক্ষান্তরে সব হিজাব পরিহিতা সম্মানীতা নাও হতে পারেন।
মাইকেলঃকিন্তু এসবের দ্বারা কি একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তথা নারীর শরীরকে খারাপকাজের মূল ভাবা হয়না? আমাদেরকে কি এই শরীর ছুঁড়ে ফেলে দেয়া উচিত?!
রাশেদঃনারীর শরীর খারাপের মূলহিসাবে ইসলাম নারীদেরকে পর্দা করেতে আদেশ করেনি। বরং পুরুষের বিশেষ করে কিছু দুর্বল চিত্ত ও খারাপ লোকের স্বভাবজাত যৌন অনুভুতির উদ্রেক যেন না হয় সেজন্য পর্দার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতএব নারীকে ইভটিজিং ওধর্ষন হতে এবং পুরুষকে যৌন উত্তেজনাও যিনার উৎসাহ থেকে বাঁচার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাথে সাথে ইসলামী শরীয়া খুব গুরুত্বের সাথে মানুষের আবেগ অনুভূতি ও যৌন উত্তেজনাকে ব্যবহারের ব্যবস্থা রেখেছে একমাত্র বিবাহের মাধ্যমে;, যাতে সমাজের ভিত্তি মজবুত হয়।
মাইকেলঃ কিন্তু হে রাশেদ, নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থেকে রক্ষার জন্য যদি পর্দার বিধান চালু করা হয়, তাহলে কেন পুরুষের প্রতি নারীর আকর্ষণের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পুরুষদেরকে পর্দা করতে বলা হবেনা? পুরুষের প্রতি নারীর কি যৌন উত্তেজনা নেই?!
রাশেদঃ (হেসে হেসে) ভাবার মত প্রশ্ন..... প্রকৃত পক্ষে ইসলাম পুরুষের পোশাকের সীমা নির্ধারন করে দিয়েছে, যা নারীর চেয়ে হালকা । উভয়ের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরো স্পষ্ট হলে এর হিকমত বুঝা যাবে। আমেরিকাতে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডঃ বিনইয়ামিন হাইডেন তার একটি গবেষণায় প্রকাশ করেন,যা জার্মানীতে (Berliner Morgen Post) বার্লিন মর্ডান পোষ্টে প্রকাশিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ পুরুষ নারীকে দেখে যৌন তৃপ্তি উপভোগ করে থাকে, কেননা পুরুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু স্নায়ু আছে যার সে ফলে সুন্দরী নারীর প্রতি নজর দিয়ে উপভোগ করে। পক্ষান্তরে নারীরা সুঠাম পুরুষের দিকে খুব কমই দৃষ্টি দেয়।
এ গবেষনায় সে সব কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয় যেসবের ফলে পুরুষ স্বীয় দৃষ্টি দ্বারা সুন্দরী, আকর্ষনীয় নারীকে উপভোগ করে। আর নারীর ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে থাকে।আর এতে স্পষ্ট হয় যে,নারী –পুরুষের এ পার্থক্যের কারণ হলো মস্তিষ্ক। কেননা পুরুষের মস্তিষ্কের কিছু স্নায়ু সুন্দরী নারী দেখলে সবল হয়ে উঠে, এতে সে প্রশান্তি ও মজা উপভোগ করে। কিন্তু নারীর গঠন এর ব্যতিক্রম, এজন্য আকর্ষনীয় পুরুষ দেখলে তার মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়না।
এ গবেষণার আরো কিছু ফলাফল হলঃ নারীর মাঝে যে বিষয়টা সর্বপ্রথম পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে তা হল চেহারা। অন্যদিকে নারীরা নির্দীষ্ট কোন অঙ্গের প্রতি মনোনিবেশ না করে পূর্ন অবয়বের প্রতি দৃষ্টিপাত করে।
অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলঃ নারীর চেয়ে পুরুষেরা আক্রমনে অধিক সাহসী ও অগ্রগামী। কেননা একটি গবেষনায় দেখা গেছে পুরুষেরা নারীর তুলনায় পাঁচগুণ বেশি অপরাধ করে থাকে। তাই নারী যখন যৌন উত্তেজনার দরজা বন্ধ করে রাখবে, এবং প্রথম পদক্ষেপ না নিবে তখন পুরুষেরা সেদিকে এগিয়ে যেতে পারবেনা ও নারীর উপর সীমালংগন ও করবেনা।
মাইকেলঃ(তাড়াহুড়া করে)ঃ আমার মনে হয় রেল চলে এসেছে, চল আমরা যাই।