রাশেদ তার বন্ধু মাইকেলের সাথে পুর্বনির্ধারিত সময়মত কফিহাউসে মিলিত হল, বসতে বসতে মাইকেল রাশেদকে বলতেশুরু করলঃ
আজ রাতে আমি তোমাকে একটি বিষয়ে সম্পর্কে বলব, আমার ধারণা তুমি আমার সাথে একমত হবে।
রাশেদঃ বন্ধু, একটু সবুর কর, আগে তোমার সম্মানে পানীয় অর্ডার দেই।
মাইকেলঃ তাড়াহুড়ার জন্য দুঃখিত, তুমি ঠিক বলেছ।
মাইকেল ওয়েটারকে ডাকল। ওয়েটার তাদের দিকে এগিয়ে এসে রাশেদকে কি নিবে বলে জিজ্ঞেস করল।
রাশেদঃ চা
ওয়েটার (আশ্চর্যন্বিত হয়ে): শুধু চা?!
রাশেদঃ লেবু দিয়ে চা।
ওয়েটার (আরো আশ্চর্য হয়ে): লেবু চা?!!
মাইকেল (হেঁসে হেঁসে): হ্যাঁ, উনি মুসলিম, মদ পান করেননা। বন্ধুর সাথে মিল রেখে আমিও লেবু চা খাব।
ওয়েটার তাদের অর্ডার আনতে চলে গেল। রাশেদ তোতলামো গলায় বললঃ মদ না খাওয়ায় আশ্চর্যের কি আছে?!
মাইকেলঃবন্ধু! আমাদের দেশে মদ খাওয়া পানি পানের মতই, এখানে অনেক ধরনের ও স্বাদের মদ আছে। তুমি অর্ডারে মদ না চাওয়ায় ওয়েটার আশ্চর্য হয়েছে। বাচ্চারা ছাড় কেউ এমন করেনা, স্যরি, তুমি মনে কিছু করনা।
রাশেদঃ কিন্তু এটা আশ্চর্যের বিষয়!
মাইকেলঃ এতে আশ্চর্যের কি দেখলে? এটা আমাদের এখানে নতুন কিছুনা, এটা শুধু আমাদের দেশেই না, বরং সমগ্র পশ্চিমা দেশে একইরকম।
রাশেদঃ এটাই বিস্ময়ের কারণ...।
মাইকেলঃ কিভাবে?!
রাশেদঃ কেননা তোমরা অধিকাংশ লোকই খৃস্টান ধর্মের অনুসারী, তোমরা পবিত্র কিতাবে বিশ্বাস কর, অথচ তাওরাতে আছে, মদ পানে অনেক ক্ষতি রয়েছে। মদ পানের ব্যাপারে সতর্ক করে বলা
হয়েছেঃ “তোমরা পেটুক ও মদ্যপ ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করোনা, (হিতোপদেশ ২৩/২০)।
মদ পানে উন্মাদ হতে নিষেধ করেছেন, প্রভু বলেনঃ
“ ঐ সব লোকদের জন্য অভিশাপ যারা খুব ভোরে জেগে মদের পানে ছুটেএবং অন্ধকারে মদের জন্য আগুন ধরায়” । (যিশাইর ভাববাদী বাণীঃ ৫/১১)
ইঞ্জিলে বর্ণিত, (লেবীয় পুস্তক) (১০/৯)তে এসেছেঃ “প্রভু হারুন আঃ কে বললঃ “মদ ও নেশা জাতীয় কিছু তুমি ও তোমার সন্তানেরা পান করবেনা, যদি কর তবে তোমরা মারা যাবে। এটা চিরন্তন ফরজ তোমাদের পরবর্তী সম্প্রদায়ের জন্য”।
‘বুক অব জাজ’ (বিচারককর্ত্তৃগণের বিবরণী ১৩:১৪) এ এসেছেঃ “প্রভুর দূত মানোহকে ডেকে বললেনঃ “যে সব জিনিস দ্রাক্ষালতায় জন্মায়, সে সব খেয়োনা এবং কোন মদ বা নেশাকর পানীয় পান করোনা”।
আরো অনেক বাণীতে মদ পানকারীর নিন্দা করা হয়েছে, নেশাকারীদের সাথে মিশতে নিষেধ করা হয়েছে, এমনকি তাদের দিকে তাকাতেও নিন্দা করা হয়েছে।
মাইকেলঃ থাম হে রাশেদ, তুমি মনে করোনা যে শুধু তুমিই পবিত্র গ্রন্থ জান, আমাদের অনেক ধর্মজাযকেরা মদ খাওয়াকে বৈধ মনে করেন। এমনকি কেউ কেউ তাওরাত থেকে উল্লেখ করেন যে, কিছু আম্বিয়াকিরামগণ মদ খেয়েছেন এমনকি নেশাগ্রস্থও হয়েছেন। আমি ধর্মজাযকদের কারো কারো বলতে শুনেছি যে, মাতাল হওয়া শুধু হারাম,। ইঞ্জিলে আছেঃ ঈসা আঃ মদ খেয়েছেন।
“লূকলিখিত সুসমাচার” (৭/৩৩-৩৪) এ আছেঃ “যেহেতু বাপ্তিস্মদাতা যোহন ( ইউহান্না) এসে, রুটি খাননি এবং মদ পান করেননি , তাই তোমরা বল ওকে ভূতে বা শয়তানে পেয়েছে। আর মানব পুত্র এসে খেলেন এবং মদ পান করলেন,তখন তোমরা বল, দেখ! ও পেটুক, মদ্যপায়ী...”।
রাশেদঃ হে বন্ধু! তুমি যা উল্লেখ করলে তা আমাদেরকে এমন দুটি মারাত্মক সমস্যার কথা মনে করিয়ে দেয় ,পশ্চিমা মানুষ ও সমাজের উপর যার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছেঃ
্রথমতঃ আমি দুঃখিত যে বলতে বাধ্য হচ্ছিঃ এ কথা প্রমানিত যে, তোমাদের বর্তমান পবিত্র গ্রন্থে নিজেদের বানানো অনেক বিষয় সম্পৃক্ত হয়েছে এবং শয়তানী হাতে বিভিন্ন বিকৃতি ঘটেছে, ফলে এতে অনেক ধর্মবিশ্বাসই পরস্পর বিরোধপূর্ণ। যেমনঃ মদ হারাম ও হালাল হওয়া,
ঈসা আঃ কে ইহা পানে সম্পৃক্ত করা আবার ইহা থেকে তিনি মুক্ত হওয়া। “লূকলিখিত সুসমাচারে” (গোস্পেল অব লুক) (১:১৫) বর্ণিত আছেঃ জিব্রাইলের (আঃ) জবানে ঈসা (আঃ) এর গুনাবলী এভাবে বলা
হয়েছেঃ “তিনি প্রভুর কাছে অনেক মহান ব্যক্তি হবেন, মদ ও নেশাজাতীয় কিছু পান করবেননা”... এখানে বৈপরিত্য স্পষ্ট।
দ্বিতীয়তঃ তোমাদের ধর্মজাযকেরা পবিত্র কিতাবকে কুক্ষিগত করেছেন, কেউ কেউ দাবি করেনঃ তিনি (ঈসা আঃ) স্বয়ং খোদা হয়ে এগুলো বলেছেন, আবার কেউ কেউ বলেনঃ তিনি হালাল হারাম করার ক্ষমতা রাখেন। আর তোমরা এদের অনুসরণ করছ।
মাইকেলঃতুমি যথার্থই বলেছ, এজন্য আমি তোমাকে খোলাখুলি বলছিঃ আমাদের অনেকেই পবিত্র কিতাবের উপর ঈমান রাখেনা, তাঁরা ধর্মজাযকদেরকেও মান্য করেনা। আমাদের সমাজে রেনেসাঁর যুগ হতে বড় ধরনের পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। এজন্য কার্যতঃ আমাদের বিশ্বাস শুধুমাত্র বিবেক ও পার্থিব বিজ্ঞানের উপর। অতএব, এসো পবিত্র গন্থ ও দ্বীনের আলোচনা বাদ দিয়ে আমরা বিবেক ও বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলি।
রাশেদঃ তবে প্রথমে আমার কথা শুনঃধর্মের সাথে তোমাদের এ বিরোধ শুরু হয়েছে তখনই যখন তোমরা গির্জার দ্বারা বিভিন্নভাবে অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়েছ ও গির্জা বিজ্ঞানের বিরোধিতা করেছে। বিশেষ করে মধ্যযুগে। আর দুঃখজনক ব্যাপার হলো, তোমরা গির্জাকেই পূর্ন ধর্ম ভেবেছিলে। আর মনে করেছিলে, ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পর বিরোধপূর্ণ এবং ধর্মের স্থান হলো শুধু উপাসনালয়ে। অন্যদিকে, ইসলামে আমরা এ সমস্যার সম্মুখিন হইনা, বরং আমাদের ধর্ম বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। আর আমাদের উলামাদের কাছে গোপন কোন ধর্মীয় বিষয়কুক্ষিগত নাই।
যাই হোক, এবার তুমি যেভাবে বললে তুষ্ট হবে আমি তোমাকে সেভাবেই বলছি, উপরন্তু এগুলো আমাদের ধর্মের বিরোধী নয়, আমি তা তোমাকে প্রমাণ করে দিব।
মাইকেলঃ ঠিক আছে, বল।
রাশেদঃ তুমি বলেছ, তুমি এখন শুধুমাত্র বিবেক ও জ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস কর; আমি শুরুতে তোমাকে জিজ্ঞেস করিঃ বিবেকের যখন এত গুরুত্ব, তখন মদ কি এ বিবেক বা জ্ঞানকে সংরক্ষণ করে নাকি দূর করে দেয়?
মাইকেলঃ এটা একটা ফাঁদ, এটা কোন প্রশ্ন নয়।
রাশেদঃ আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে সম্মানিত করেছেন, তাকে সব সৃষ্টির উপর মর্যাদা দান করেছেন। তাকে বিবেক দান করেছেন। যে ব্যক্তি জ্ঞানসপন্ন নয় তার উপর ইসলামী শরিয়তের বিধিবিধান প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ তায়া’লা এ মহা নেয়ামতকে সব ধরণের অনিষ্টতা থেকে হিফাজত করতে আদেশ দিয়েছেন। বরং এর হিফাজত করা ইসলামের পাঁচটি জরুরী জিনিসের অন্তর্ভূক্ত। এজন্যই ইসলাম মদ, নেশা বা নেশা জাতীয় যা কিছু বিবেককে আচ্ছন্ন করে দেয় এমন সব কিছু পান করা ও এসবের লেনদেন করাকে হারাম করেছে।
মাইকেলঃ তুমি যে পাঁচটি জরুরী বিষয়ের সম্পর্কে উল্লেখ করেছ তা কি?
রাশেদঃ এ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমরা মূল বিষয় থেকে দূরে চলে যাব। মোটকথা, এগুলো হলোঃ দ্বীন, জীবন, জ্ঞান, সম্মান ও সম্পদ।
মাইকেলঃ চমৎকার, তোমার কথা পূর্ণ কর।
রাশেদঃ এটা সবাই জানে যে, অ্যালকোহল (মদের মধ্যে যার প্রাধান্য থাকে)পেট ও অন্ত্রনালীর মধ্যে দ্রুত শোষিত হয়ে রক্তের মাঝে দ্রুত পৌঁছে যায়। অতঃপর সহজেই শরীরের সমস্ত গঠনতন্ত্রকে বিগড়ে দেয় ও মূল স্নায়ুতন্ত্রের কোষগুলোকে বিকল করে দেয়।
অ্যালকোহল যদি সামান্য পরিমান(প্রায় ০.০৩%) ও হয় তবুও নিউরোন কোষে প্রভাব ফেলে। ফলে স্নায়বিক প্রবাহকে ধীরগতি করে দেয়। যার ফলে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। এজন্যই পবিত্র কোরআন মদকে পরিপূর্ণভাবে হারাম করেছে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ (হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও)। (সুরা মায়েদাঃ ৯০)
মাইকেলঃ কিন্তু আমরা দেখি মদে কিছু উপকারও রয়েছে, যেমনঃ আরোগ্য লাভের অনুভূতি, উষ্ণ অনুভব, বিশেষ করে আমাদের ঠান্ডার দেশে।
রাশেদঃ মদের যে কিছু উপকার আছে তা কোরআন অস্বীকার করেনি, আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ (তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও,এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়)। (সুরা আল বাকারাঃ ২১৯)। কেননা এর ক্ষতির দিক উপকারের চেয়ে অনেক বেশি, এজন্যই কোরআন এটাকে হারাম করেছে। এবার আস, বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণে, যা তোমরা বিশ্বাস করঃ
মাদক সেবনে একদিকে যেমন রয়েছেঃ মানবাচরনের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব, মানসিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যা,মাতলামির কারনে সঙ্ঘটিত বিভিন্ন মারাত্মক অপরাধ,আর্থিক ক্ষতি এবং অন্যকে কষ্ট দেয়ার মত মারাত্মক কুফলসমূহ; তেমনভাবে বিজ্ঞান প্রমান করে যে, মাদকাসক্তি নিন্মোক্ত শারীরিক ক্ষতিগুলো করে থাকেঃ
১- পুরো শরীরের গ্রন্থীতে প্রভাব ফেলে দেহে এব হৃদয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে।
২- জননতন্ত্রে রক্ত জমাট করে দেয়।।
৩- পাকস্থলী এবং গ্রহণীতে সংক্রমন এবং পরিপাকযন্ত্রে আলচার সৃষ্টি করে।
৪- মুখ, গলদেশ, পাকস্থলী, পাকস্থলী অন্ত্র, স্নায়ু এবং অন্তঃস্রাবী গ্রন্থীতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়।
৫- লিভারে সংক্রমন ও ছিন্নতা সৃষ্টি করে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য কঠিন ব্যাধির সৃষ্টি করে।
৬- এছাড়া মদ পানে শ্বাসতন্ত্রের অনেক সমস্যা হয়, যা এখানে আলোচনা করে শেষ করা যাবেনা।
আর মদের কারনে যে উষ্ণতার কথা তোমরা বল তা ত্বকের মধ্যে মাদকীয় রক্তের প্রভাবেহয়। অর্থাৎ মদ রক্তধমনীতে প্রশস্ততা সৃষ্টি করে ফলে সমস্ত দেহ হতে উষ্ণ রক্ত ত্বকের নিচে চলে আসে। তখন মদ্যপায়ী মিথ্যা উষ্ণতা অনুভব করে, তাঁর ত্বক লালবর্ন ধারন করে।এতে দেহের সকল উষ্ণ রক্ত ত্বকের নিচে চলে আসার কারনে শরীর তা আভ্যন্তরীন উষ্ণতা হারায়; যা জীবনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়।
মদ পান ছাড়াও অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে শরীর উষ্ণ করা যায়। আর এটা উল্লেখ্য যে, শীত প্রধান দেশে বসবাসরত মুসলমানেরা মদ পান করে শরীর উষ্ণ করেনা।
মাইকেলঃকিন্তু দেখ হে বন্ধু, তোমার উল্লেখিত এসব ক্ষতি হয় মাতলামির পর্যায়ে পৌঁছলে। এজন্য আমি মনে করি সামান্য একটু পান করলে কোন সমস্যা নেই।
রাশেদঃ সমস্যা হল, মদ পানকারী প্রথমে সামান্য একটুই পান করে, অতঃপর সে চাঙ্গামেজাজ ও উষ্ণতা অনুভব করে আরো পান করতে চায়। এভাবে শরীরে যতই অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়ে, ততই এর চাহিদা আরো বাড়তে থাকে... এমনি ভাবে চলতে থাকে।
শোন, আমি তোমাকে বলছিঃঅ্যালকোহল জাতীয় বস্তুর নেশার ক্ষতি সম্পর্কে নিউজিল্যান্ডের একটা মেডিকেল গবেষনার সারাংশ হলোঃ অ্যালকোহল যত কম হোক না কেন বা মাঝারি মাপের হোক- এর ক্ষতিকর দিক যেকোন উপায়ে এর উপকারের চেয়ে অনেক বেশী। অথচ এর বিপরীতে পশ্চাত্যের লোকেরা দাবি করে যে , প্রতিদিন এক গ্লাস মদপান হৃদরোগ হতে রক্ষা করতে পারে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিজ্ঞানের প্রফেসর ডক্টর রড জ্যাকসন “দি লান্সেট” ম্যাগাজিনে প্রবন্ধে লিখেনঃ “সামান্য বা মাঝারিধরনের মদপানের মাধ্যমে হৃদরোগ হতে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন এবং তার তুলনায় এর ক্ষতির পরিমান অনেক বেশী।
এখানে হাদিসের বৈজ্ঞানিক বিষ্ময় লক্ষ্য করা যায়। রাসুল সাঃ
বলেছেনঃ “সব ধরনের নেশা হারাম, যা নেশা সৃষ্টি করে তা সামান্য বা সবই হারাম”।
মাইকেলঃ উফ্ফ্, আমাদের সংলাপ শুধুই উষ্ণইহয়নি, বরং অত্যুষ্ণ হয়েছে।মনে হচ্ছে, এখন সংলাপ শেষে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর জুস পান করা প্রয়োজন।
রাশেদ(হেসে):চা ছাড়া লেবু?! কিন্তু তুমি এখনো সে বিষয়টির অবতারনা করনি যে বিষয়ে আমি তোমার সাথে একমত হব বলে তুমি মনে করছ।
মাইকেলঃ তাহলে এটাই আমাদের পরবর্তী সাক্ষাতের বিষয়বস্তু হবে।
রাশেদঃ ইনশাআল্লাহ