রাশেদ তার কম্পিউটার অন করে যখন চ্যাটরুমে প্রবেশ করল তখন মাইকেলের ম্যাসেজ পেলঃ “আগামী বৈঠকে উপস্থিত হয়ো... আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন আলোচনার বিষয় আছেঃ অন্যের সাথে লেনদেন, অবদমন, চিন্তা-গবেষণার স্বাধীনতা.... বিদায়”।
রাশেদ বন্ধুদেরকে রুমের মধ্যে পেয়ে অভিবাদন জানাল। অতঃপর বলতে লাগলঃ
মানবাধিকার বিষয়টি অনেক ব্যাপক, মাইকেল যা বলেছে শুধু তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এজন্যই আমি একটা সামষ্টিক সীমারেখা নির্ধারন করেছি যাতে ভিন্নতা সত্বেও আমরা সহজেই বুঝতে পারি।
মাইকেলঃকিছু উদাহরণ দিতে বাঁধা নেই, যেমন আমি আমার চিঠিতে উল্লেখ করেছি। যাতে আমাদের আলোচনাটা কার্যকরী ও বাস্তবায়নের উপযোগী হয়।
রাশেদঃ ঠিক আছে, কোন অসুবিধে নেই।
রাজিবঃ তুমি গত আলোচনায় একটা মূলনীতি বলেছিলে, এটা এখানে ব্যবহার করা যায়। তা হলো যখন আমরা এ সব অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্লেষন করব তখন আমরা সেসব মূল্যবোধ ও মূলনীতির দিকে তাকাবো যার উপর ভিত্তি করে এগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। লোকজন এগুলোর বাস্তবায়ন ও অনুশীলন কিভাবে করে সেদিকে তাকানো যাবেনা।
রাশেদঃ ঠিক বলেছ.... স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধের অর্থে সে চিন্তাধারার প্রভাব থাকে যে চিন্তাধারা হতে তা উৎসারিত হয়। আর সে অর্থ তার সামাজিক মূল্যবোধের অনুগত হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে মাইকেলকে আমি জিজ্ঞেস করিঃ তুমি কি আমাদের সামনে পশ্চিমা সমাজের চিন্তা-গবেষণার পটভূমি ও মূল্যবোধের নিয়মকানুনগুলো আলোচনা করবে, যার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমা ভাবধারায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
মাইকেলঃসংক্ষেপে বলা যায়ঃ চিন্তা গবেষণা ও মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্যসমূহের কাঠামো, যার উপর ভিত্তি করে পাশ্চাত্যে স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে গুলো হলো নিম্নরূপঃ
১- শুধু মাত্র আকল বা বিবেকই হলো অধিকার ও স্বাধীনতার মূল মাপকাঠি। যদিও এ আকল দ্বীনের কিছু মূল্যবোধ গ্রহণ করে – যেমন মুক্তিবাদিরা প্রটিস্ট্যানটদের মতবাদের দ্বারা প্রভাবান্বিত- একমাত্র আকলই এসব মূল্যবোধ গ্রহন ও বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে বিচারক।
২- ধর্মনিরপেক্ষতা (জীবন ও রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে বিচ্ছিন্ন রাখা) হলো একমাত্র পদ্ধতি যা এসব অধিকার ও স্বাধীনতাকে সংগঠিত করবে।
৩- (স্বাধীনতা) ও (সমঅধিকার) হলো সমাজের সর্বোচ্চ মূল্যবোধ, সমাজের অন্যান্য মূল্যবোধগুলো এর অধীনে এবং এর সাথে সংগঠিত হবে। এদুটো হলো (স্থায়ী) ও (মহাপবিত্র) জিনিস, এগুলোতে হাত দেয়া যাবেনা।
৪- ব্যক্তি জীবনে সুখ শান্তির জন্য তাকে মূল্যায়ন ও তার স্বার্থসমূহকে অনুমোদন করা হবে যতক্ষণ সমাজের ভূমিকা ও স্বার্থের সাথে বিরোধ না হয়।
রাশেদঃ চমৎকার, স্পষ্ট ও সুনির্ধারিত উপস্থাপনা। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাহলে বোঝা গেলো,গীর্যা থেকে জীবনের সর্বক্ষেত্রকে বিচ্ছিন্ন করার পর পশ্চিমা সমাজে মূল মাপকাঠি হলো সবকিছুকে বিবেকের কাছে সোপর্দ করা, সাথে রয়েছে ,গবেষনামূলক ইন্দ্রিয়ানুভূতি । এসব মৌলিক উৎস থেকে অধিকার ও স্বাধীনতা উৎসারিত হয়। একথাও স্পষ্ট যে, যেসব পদ্ধতিতে এসব অধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো ধর্মনিরপেক্ষতা।
আমরা একথাও বলতে পারি যে, এসব মৌলিক উৎসের উপর ভিত্তি করে (স্বাধীনতা) ও (সমঅধিকার) এদুটো হলে পশ্চিমা সমাজে সর্বোচ্চ মূল্যবোধ। এর ফলেপশ্চিমা সমাজের ভাবধারা অনুযায়ী এ মূল্যবোধ দুটোর বাস্তবায়ন সর্বাগ্রে। তাই সমাজের অন্যান্য মূল্যবোধগুলো এগুলোর অধীনস্থ বা এগুলোর কারনে সীমাবদ্ধ হবে বা এগুলোর সাথে সংগঠিত হবে। এ কারনেই (স্বাধীনতা) ও (সমঅধিকার) হলো (স্থায়ী) ও (মহাপবিত্র) জিনিস যার কোন সংস্কার করা যাবেনা। এদুটোর হেফাযতের জন্য অন্যান্য মূল্যবোধ ও অধিকার বিসর্জন দেয়া হবে।
ইসলামী পটভূমি ও ব্যবস্থাপনায় এ শব্দাবলী ও পরিভাষাগুলোর অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা।
রাজিবঃ তাহলে দুয়ের মাঝে তুলনা করতে হলে যে সব চিন্তা গবেষণা ও মূল্যবোধের পরিধির উপর ভিত্তি করে ইসলামে (মানবাধিকার) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে গুলো আলোচনা করা দরকার।
রাশেদঃ ইসলামে ও ইসলামী সমাজে নিয়মকানুন ভিন্নতর, সেগুলো নিম্নরূপঃ
১- (শুধু বিবেক) ও (গবেষনামূলক ইন্দ্রিয়) এর বিপরীতে ইসলামে (ওহী) হলো মূল্যবোধ ও মূলনীতির সর্বপ্রথম মৌলিক ভিত্তি, যা থেকে স্থায়ী ও পবিত্রতম জিনিসগুলো নিসৃত হয়, তবে বিবেক ও ইন্দ্রীয় জ্ঞানের ভূমিকাকে তার নিজস্ব ক্ষেত্রে মাপকাঠি হিসেবে অবজ্ঞা করা হয়না।
২- (ধর্মনিরপেক্ষতার) বিপরীতে ইসলামে (শরিয়ত) ও দ্বীনের সাথে দুনিয়ার কাজ কর্মের সামাঞ্জস্যতা হলো একমাত্র পদ্ধতি যার উপর ভিত্তি করে সমাজ চলে।
৩- (স্বাধীনতা) ও (সমঅধিকারের) বিপরীতে ইসলামে আমরা দেখতে পাই আল্লাহর জন্য (ইবাদত বন্দেগী) ও মানুষের মাঝে (ন্যায় বিচার)। (ন্যায় বিচার মানেই সমঅধিকার নয়, যা অনেক মানুষ ধারণা করে) । এদুটো হলো ইসলামী সমাজের সর্বোচ্চ মূল্যবোধ, এগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে ও সংস্কার করা যাবেনা। এদুটোর অবস্থান সর্বাগ্রে,সমাজের অন্যান্য অধিকার ও স্বাধীনতাকে এর অনুগত , এর মাঝে সীমাবদ্ধ এবং এর সাথে সংগঠিত করা হয়।
৪- (ব্যক্তি স্বাধীনতার) বিপরীতে আমরা দেখি, ইসলামে ব্যক্তি ও সমাজের মাঝে পারস্পরিক দায়িত্ববোধ রয়েছে। একে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন ও অন্যায় না করে পরস্পরের মাঝে সঙ্গতি ও ঐকতান করা।
রাজিবঃ আমরা সম্ভবত কিছু মতভেদপূর্ণ অধিকারের ক্ষেত্রে এদুটো মূল্যবোধের মাঝে তুলনা করতে পারি যাতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
মাইকেলঃ আমরা “বিশ্বাসের স্বাধীনতা” নিয়ে ইসলামী ও পশ্চিমা চিন্তা ধারার মাঝে তুলনা করতে পারি। যেসব মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে এদুটো সমাজ ব্যবস্থায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসবের উপর ভিত্তি করে এ দুটোর তুলনা হবে।
রাশেদঃ বিশ্বাসের স্বাধীনতা বা (ধর্মীয় স্বাধীনতার) মাঝে তুলনা করা আসলেই একটা ফলপ্রসূ ব্যাপার। বিষয়টি মূলত (দ্বীনের) ব্যাপারে ব্যাখ্যার ভিন্নতা ও দ্বীনের সাথে এদুটো সমাজ ব্যবস্থার মূল্যবোধের সম্পর্কের সাথে সম্পৃক্ত।
পশ্চাত্যে মানুষ যে কোন ধর্মের বিশ্বাসী হতে পারে, বা ধর্ম অস্বীকারকারী বা নিজ ধর্মত্যাগকারী হতে পারে। কেননা এসব (বিশ্বাসের স্বাধীনতার) মধ্যে পড়ে, আর এটা ব্যক্তি অধিকার, এতে অন্যের হস্তক্ষেপ বৈধ নয়।
কিন্তু একই সময় আমরা পশ্চাত্য সমাজে দেখি যে, যদিও কোন মুসলমান তার ইচ্ছামত ধর্ম বিশ্বাস করতে পারে কিন্তু সে অনুসরনীয় ধর্মের বাস্তবায়ন স্বাধীনভাবে করতে পারেনা। অর্থাৎ পশ্চাত্য সমাজ মুসলমানকে তার ধর্ম অনুযায়ী জীবন যাপন করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন অনেক রাষ্ট্রে শরিয়ত অনুযায়ী জবাই করতে নিষেধ করা হয়, এমনিভাবে দ্বিতীয় বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়। কোন কোন দেশে মুসলিম মহিলাকে তার ধর্মের নির্দেশনা অনুযায়ী পোশাক পড়তে দেয়া হয়না, অথচ এসব অধিকার অনুশীলন করা মুসলমানের ধর্মের অংশ হিসেবে ধর্তব্য... তোমার কাছে এ সবের কি কোন ব্যাখ্যা আছে?
মাইকেলঃ কেননা এসবের অনুশীলন আবেগ ও ব্যক্তিগত অনূভুতির সীমা বহির্ভূত, তাই এগুলো (বিশ্বাসের স্বাধীনতা) অধিকারের মাঝে পড়েনা। এছাড়াও এগুলো আইন লঙ্ঘন ও সামাজিক চুক্তি ও যে সংবিধানের উপর অধিকাংশ লোক একমত তার বিরোধীতার শামিল। এজন্যই ধর্মকে জীবনের সব কর্মক্ষত্র থেকে আলাদা করা হয়েছে।
তবে আমি তোমাকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে পারি, তাহলো আইনত কোন মুসলমান বৈবাহিক সম্পর্কের বাহিরে অন্য যে কোন নারীর সাথে সংসার ও জীবন যাপন করতে পারবে যতক্ষণ তারা রাজি থাকে, আর এ সম্পর্ক স্ত্রীর বিছানায় না হয়।
রাশেদঃ তবে এ সম্পর্ক আইনীভাবে বৈধ হলেও তাদের ধর্ম অনুযায়ী অবৈধ।
আমি জানি তোমরা এসব বিধিনিষেধকে অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য মর্যাদাহানিকর মনে করনা। কেননা তোমরা এসবের মাঝে ও দ্বীনের মাঝে কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওনা। বরং এগুলোকে তোমরা তোমাদের স্থায়ী ও পবিত্রতম নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন সীমাবদ্ধতা ও মনে কর।
এর কারণ হলো, (ধর্ম বিশ্বাস ও দ্বীন) এর ধারণা পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে মিশে গেছে যা জীবন থেকে দ্বীনকে আলাদা করেছে। এ নীতি অনুযায়ী দ্বীনের সাথে সমাজের কোন সম্পর্ক নেই। তবে তা ব্যক্তি অনুভূতি ও বিবেক যা তার অন্তরের ভিতরে বাস করে। এগুলোকেও জীবন যাপনের অনুশীলন থেকে আলাদা করা উচিত যেমন তুমি ইতিপূর্বে বলেছ।
রাজিবঃ এখন আমি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পেরেছি।
রাশেদঃ ইসলামী ভাবধারায় সমাজে আল্লাহর দাসত্ব ও দ্বীনদারিতার সীমারেখায় (বিশ্বাসের স্বাধীনতা) গ্যারান্টিযুক্ত। এর ফলে ইসলামী সমাজ যারাই সর্বশক্তিমান আল্লাহর রাজত্বকে স্বীকার করে তাদেরকে এর তার ছায়াতলে গ্রহণ করে। আর যারা তার সাথে বিদ্রোহ করে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে ও তার রাজত্ব থেকে বের করে দেয়। এর ফলে ইসলামী সমাজে একাধিক দ্বীনের অস্তিত্বকে গ্রহন করে।
তাই ইহুদি ও নাসারাদের সাথে একত্রে বসবাস করতে অনুমতি দিয়েছে ও তাদের ব্যক্তি জীবনে সব ধরণের স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে অন্যান্য ধর্ম যেমন মূর্তিপূজা ও নাস্তিকতাকে সুযোগ দেয়নি, কেননা ইহুদি ও নাসারারা হলো আসমানি ধর্মের অনুসারী তারা আল্লাহর দাসত্ব ও ফয়সালাকে সর্বোসাকুল্যে মেনে নেয়।
তবে এ দুটো ধর্মে এমনসব বিচ্যুতি এবং বিকৃতির ফলে ইসলামের সাথে এর সঙ্ঘর্ষ ও বিরোধ বাঁধে যা আল্লাহর দাসত্বের সাথে বিরোধপূর্ণ, তাই তাদেরকে (বিশ্বাসের স্বাধীনতার ) ক্ষেত্রে কিছুটা সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তাদেরকে এ ধর্ম প্রচারের অধিকার দেয়া হয়নি। বিকৃতির ফলে তাদের ইবাদতের চিহ্ন প্রকাশ করতে দেয়া হয়না। এদেরকে বাক স্বাধীনতার দেয়া হলে সমাজের আইন কানুন লঙ্ঘন করা হবে ও চিরস্থায়ী ও পবিত্রতম মূল্যবোধকে ধ্বংস করা হবে।
মাইকেলঃ কোন মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করতে চাইলে ইসলামের নিষেধের কারন কি?
রাশেদঃ এ বিষয়টিও পূর্বে যা উল্লেখ করেছি তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসলামে মুরতাদের ব্যাপারটি (বিশ্বাসের স্বাধীনতা)এর ধারণার সাথে সম্পৃক্ত। যে শুরুতে ইসলামে প্রবেশ করেনা তাকে ইসলাম কখনও শাস্তি ও তিরস্কার করেনা। কাউকে জোর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বলা হয়না।
আল্লাহ তায়া’লা এ ব্যাপারে বলেছেনঃ “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে”। (সুরা বাকারাঃ ২৫৬)।
আল্লাহ তায়া’লা আরো বলেছেনঃ “বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক”। (সুরা কাহাফঃ ২৯)।
আল্লাহ তায়া’লা আরো বলেছেনঃ “তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে” (সুরা কাফিরুনঃ ৬)
আবার একই সময়ে আমরা দেখি যারা দ্বীন ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে তাদেরকে নিষেধ করেছে ও শাস্তির কথা বলেছে।
আমরা মুরতাদ সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান বুঝতে পারি এভাবে যে, যারা ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে তারা সমাজের সর্বোচ্চ মূল্যবোধ ও মূলনীতিকে দোষারোপ ও অপবাদ দেয় যার উপর ভিত্তি করে সমাজ গঠিত হয়েছ। অথবা অন্য কথায় বলতে পারি, ইহা এ ধর্মের সত্যতার ব্যাপারে প্রকাশ্য অপবাদ দেয়া। অথবা মানব জাতির এ ধর্মের প্রয়োজন নেই । আর এ সব কিছু সে সমাজে গ্রহণ করা হবেনা যে সমাজ এ ধর্মের সত্যতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
আর ইহাই হুবহু পশ্চিমা সমাজে সংঘটিত হয়ে থাকে যখন কেউ স্বাধীনতার নামে স্থায়ী ও পবিত্রতম জিনিসের বিরোধিতা করবে তখন স্বাধীনতাকামীরা তাৎক্ষনিক প্রতিউত্তর দিবে। তাদের বিখ্যাত শ্লোগান উঁচু করবেঃ (স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য স্বাধীনতা নাই)। কেননা এভাবে তারা স্বাধীনতাকে নিঃশেষ করবে, অর্থাৎ তারা সমাজের সর্বোচ্চ মূল্যবোধ ও মূলনীতিকে ধ্বংস করবে যার উপর ভিত্তি করে সমাজ গঠিত হয়েছে।
মাইকেলঃ রাশেদ তোমার সুন্দর ব্যাখ্যার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের এ সংলাপে আমি খুবই আনন্দিত, আশা করি আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে...