তিন বন্ধু সাক্ষাৎ করতে এলে মাইকেল ও রাজিব রাশেদের কাছে এক ধরনের আওয়াজ শুনতে পেল। তারা জিজ্ঞেস করলে রাশেদ বলল ইহা প্রচারিত সংবাদের শব্দ, সে সংবাদ শেষ পর্যন্ত শুনতে তাদের কাছে কয়েক মিনিট সময় চাইল। একটু পরে রাশেদ বলতে শুরু করলঃ
দুঃখিত, তোমরা হয়ত ইদানিং সংবাদ শোনার গুরুত্ব বুঝতেছ, বিশেষ করে আমার ক্ষেত্রে। বর্তমানে আমাদের দেশে কি হচ্ছে তা কি তোমরা খবর রাখ?
রাজিবঃ হ্যাঁ, ইহা খুবই উত্তেজনাময় খবর। একের পর এক দ্রুত অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।
মাইকেলঃ এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি তা হচ্ছে, ইসলামপন্থীদের উত্থান এবং রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে পরিবর্তন করে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে তাদের প্রচেষ্টা, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।
রাশেদঃ এতে উদ্বেগের কারন কি?
মাইকেলঃ মানুষ দ্বীনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে করে দেখেছে,এর ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। এতে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। দ্বীনি রাষ্ট্রের যুগ শেষ, মধ্য যুগ থেকে এর সময় শেষ হয়ে গেছে।
রাশেদঃ কিন্তু তুমি দ্বীনি রাষ্ট্র দ্বারা কি উদ্দেশ্য নিয়েছে?
মাইকেলঃ ইহা এমন রাষ্ট্র যা পরিচালনা করবে ধর্মীয় ব্যক্তিগণ, যারা মনে করেন যে, তারা খোদার পক্ষ হতে সব কথা বলেন। দ্বীনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে মারাত্মক দিক হলো ইহা সব অধিকার ও বাস্তবতা আল্লাহর নামে বাজেয়াপ্ত করে। কেননা তারা মনে করেন যে, তারা আল্লাহর পক্ষ হতে কথা বলেন। ফলে নিজেদেরকে ভুলের উর্ধে মনে করেন, এর ফলে যারা তাদের বিরোধিতা করে তাদেরকে আল্লাহর বিরোধিতার শামিল মনে করেন। এতে করে তাদের কাজের কোন হিসেব নেয়া যায়না এবং তাদেরকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করা যায়না।
রাশেদঃ দুঃখজনক ভাবে বলতে হয় এখানে ইসলামী রাষ্ট্র সম্পর্কে তোমাদের সাংস্কৃতিগতভাবে একটা বিভ্রাট আছে। তুমি দ্বীনি রাষ্ট্রের যে ধরন উল্লেখ করেছে সে ধরনের ব্যবস্থাপনা আমিও অস্বীকার করি। একে বলে থিওক্রেটিক। কিন্তু থিওক্রেটিক এমন নিয়ম যাতে শুধুমাত্র নীতিমালা নয় বরং সব ধরনের শক্তি ও বাস্তবায়ন ও দ্বীন থেকে উৎসারিত হয়। ইউরোপের লোকজন গীর্যার লোকদের দ্বারা মধ্যযুগে এ ধরনের শাসনের দুর্ভোগ পোহায়েছে। কিন্তু ইসলাম এ ধরনের শাসন ব্যবস্থা স্বীকার করেনা। ইসলামে ধর্মীয় গুরু দ্বারা শাসন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। তবে সেখানে দ্বীনের নিয়ম কানুন দ্বারা মানুষের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা আছে। যে মানুষ ভুল করবে, শুদ্ধ করবে। তার হিসেব আছে, সমালোচনা করা যাবে, তাকে প্রয়োজনে শাস্তি দেয়া যাবে, যদি সে কাজে অক্ষম হয় তবে তাকে তার পদমর্যাদা থেকে অপসারণ করা হবে। এখানে মূল পার্থক্য হলো, ইসলামী রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা হবে ইসলামের মূলনীতির উপর ভিত্তি করে তবে তা বাস্তবায়ন করবে মানুষ, যে মহাপবিত্র হবেনা এবং ভুলের উর্ধে হবেনা। ইসলামে এমন কোন শাসক নেই যে ধারনা করে যে, খোদার পক্ষ হত সরাসরি তার উপর ক্ষমতা অর্পিত হয়েছে; বরং জাতিকে তার উপর শাসনক্ষমতা ন্যাস্ত করতে হবে।
এছাড়া মুসলিম দেশে ইসলামী রাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা ছিল, উন্নতি ও অগ্রগতিতে ভরা সফল অভিজ্ঞতাইহা ইউরোপের দ্বীনি রাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার বিপরীত ছিল।
রাজিবঃ ইসলামি রাষ্ট্র ও দ্বীনি রাষ্ট্রের মাঝে পার্থক্য বুঝলাম, তাহলে ইসলামী রাষ্ট্র ও ধর্মহীন রাষ্ট্রের মাঝে পার্থক্য কি কি?
রাশেদঃ অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমি পার্থক্যের মৌলিক ভিত্তি উল্লেখ করব। মহাবিশ্ব , জীবন ও মানুষের সম্পর্কে ইসলাম ও ধর্মহীনতার ধারনার পার্থক্যের মাঝে এ দু’ধরনের রাষ্ট্রের পার্থক্যের মূল নিহিত । ইসলামী রাষ্ট্রের নিয়মকানুনগুলো দ্বীন ও জীবনের সাথে মিশে আছে, এ শাসন ব্যবস্থা মুসলিমের জীবনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। সেখানে ব্যক্তি, জাতি ও রাষ্ট্র পরস্পরে পরিপূরকের কাজ করে করে থাকে।
বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে বুঝতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে আল্লাহর এ আধিপত্যে মানুষের মূল অবস্থান কি? যখন আমরা স্বীকার করব যে, আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তাহলে স্বভাবতই আমাদের উচিত হবে আমাদের সব কাজে তাকে সন্তুষ্ট করা। যখন আমরা স্বীকার করব যে, এ আসমান জমিনের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়া’লা, তখন স্বভাবতই আমাদেরকে স্বীকার করে নিতে হবে তাঁর ইচ্ছা ছাড়া এ মালিকানায় কোন আইন থাকতে পারেনা। তিনিই একমাত্র আমাদেরকে রিজিক দান করেন, অতএব তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা যাবেনা। যখন আমরা স্বীকার করব যে, আল্লাহ তায়া’লাই একমাত্র আমাদের ও এ মহাবিশ্বের আইনদাতা, তাহলে তাঁর পূর্ণ আনুগত্য ছাড়া কোন উপায় নেই।
মাইকেলঃ কিন্তু, এসব আইনের পুরাবৃত্তির কি প্রয়োজন যার ব্যাপারে অনেক ভয়ভীতি ও কথা রয়েছে ? মানুষতো নিজেই তো জানে কিভাবে সে জীবন যাপন করবে, কিসে তার সুখ-শান্তি অর্জিত হবে, তার জীবনের জন্য কি ধরনের আইন প্রযোজ্য, এরপর সে এগুলো নিজের উপর বাস্তবায়ন করবে এবং আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা লাভ করবে।
রাশেদঃ আসলে ব্যাপারটি হলোঃ মানুষ কি তার পরিচালনার জন্য আইন প্রণেতা বা আইনের উৎস হতে পারে? আমরা জানি কোন যন্ত্র যদি অজ্ঞ লোক পরিচালনা করে তাহলে সে উহা নষ্ট করে ফেলবে। যেমনঃ যে লোক গাড়ি চালাতে পারেনা সে যদি গাড়ি চালায় তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তার এ বোকামীর কি ফলাফল দাঁড়াবে। একটু ভেবে দেখ, একটি ছোট যন্ত্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞ লোকের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে মানুষের ব্যাপারে কি হতে পারে? যে মানুষ অনেক জটিল যন্ত্রাংশ দ্বারা সৃষ্টি, যার জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রয়েছে অসংখ্য সমস্যাবলী, যার অগনিত সমস্যাবলী হিসেব করা যাবেনা। তাহলে কিভাবে মানুষ দ্বারা মানুষের পরিচালনা সম্ভব যে মানুষ তার নিজের সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা রাখেনা।
অন্য ব্যাপার হলোঃ যে মানুষ মানবজীবনের নিয়মনীতি নির্ধারন করবে তার দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান না হলে মানুষের মাঝে ন্যায়নীতি ও সমতা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যার কোন মানবিক স্বার্থ থাকবেনা একমাত্র সেই পারে মানুষের মাঝে সমতা বজায় রাখতে। যে ব্যক্তি, পরিবার, দেশ, জাতি ইত্যাদির ব্যাপারে আকৃষ্ট হবেনা... তিনিই একমাত্র পারেন সমতা বিধান করতে। জমিনে এ পদ্ধতি ছাড়া ন্যায় বিচার সম্ভব নয়।
মানুষ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ও স্বার্থ থেকে মুক্ত নয়। মানুষের এ দুর্বলতা অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। যদি আমরা রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা যেমন ফাদার, বিভিন্ন তরীকার ভুয়া মাশায়েখ ও ধন সম্পদশালী ব্যক্তিদের দিকে তাকাই তাহলে দেখব তারা নিজেদের জন্য কিছু বিশেষ আইন কানুন করে রেখেছে, ফলে তারা দুনিয়াতে যে সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তা সাধারন মানুষ ভোগ করতে পারেনা। তারা নিজেদের জন্য অনেক আইন প্রণয়ন করে, আর এগুলো এমনভাবে প্রচার করেন যে, জনগন যাতে মনে করেন এগুলো এভাবেই হওয়া স্বাভাবিক। তাহলে একটি ন্যায়নীতি ও সমান অধিকারের রাষ্ট্র কি এ ধরনের লোকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
আমরা যদি বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকাই যেগুলো নিজেদের শক্তিবলে অনেক জাতিকে পরাভূত করে রেখেছে তারা কোন আইন বা নিয়মের ভিত্তিতে তাদের জাতির মাঝে শক্তি প্রয়োগ করে প্রভাব ফেলে? তাহলে এমন লোকদের দ্বারা কি আইন প্রণয়ন করে ন্যায় বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা কি সম্ভব?!
রাজিবঃ কিন্তু জনাব রাশেদ, তাহলে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা কি করবে? আমরা যেমন ভারতে শত শত বিভিন্ন ধর্মের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একত্রে বসবাস করি। তোমরা যখন ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করবে তখন তো তাদেরকে জোর পূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করবে।
রাশেদঃ এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে খুব ভাল করেছ। এখানে আমি তিনটি কথা উল্লেখ করবঃ
প্রথমতঃ আমি আশ্চর্যান্বিত হই যখন তোমরা আপত্তি কর অমুসলিম কিভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করবে অথচ তাদের ধর্ম পৃথিবীতে তাদের ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেনি, আর তোমরা ধর্মহীন রাষ্ট্রে মুসলমানদেরকে তাদের নীতি ও বিশ্বাস বিরোধী নিয়মনীতি পালনে বাধ্য কর অথচ তাদের ধর্ম তা পালনে তাদেরকে অনুমতি দেয়না!
দ্বিতীয়তঃ ইসলামকে মূল ভিত্তি করে কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মানে অমুসলিমদেরকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা নয়। এসব অযথা আপত্তি এসেছে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থা থেকে যাতে বিশ্বাস, স্পর্শানুভূতি ও আবেগকে একান্তই ব্যক্তিগত বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম এগুলোকে এভাবে সীমিত রাখেনি; মুসলমানের জন্য ইসলাম হলো একটি আচরণবিধি ও শরিয়া, অর্থাৎ একটা পদ্ধতি ও আইন কানুন। সভ্যতার লক্ষ্যবস্তু। আর অমুসলিম ইসলামের বিশ্বাস ও তার নিদর্শানাবলী না মেনেও তার আইন-কানুনগুলোকে সভ্যতার লক্ষ্যবস্তু মনে করে মেনে চলতে পারে।এর প্রকৃত উদাহরণ হলো যেমন তোমরা বল, বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাসকে যার যার উপর ছেড়ে দিয়ে মুক্তিবাদ ও সমাজতন্ত্রকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তৃতীয়তঃ ইসলামী মূল্যবোধে সমাজ প্রতিষ্ঠা করলে সংখ্যালঘুদের অধিকারকে লঙ্ঘন করা হবে, বা তাদের ব্যক্তিগত ধর্মে আঘাত হানা হবে ব্যাপারটি এমন নয়। বরং ইসলাম সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণ করে, তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নিজেদের ধর্ম অনুযায়ী বিচার করতে নিষেধ করেনা।
মাইকেলঃ তবে আমরা এখন আর সে যুগে নেই যে যুগে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর অভিজ্ঞতা ভোগ করা হয়েছিল। যদিও সে সময় এটা সফলতা পেয়েছিল কিন্তু বর্তমানে এটি প্রতিষ্ঠা করা মানে পশ্চাতে ফিরে যাওয়া। আধুনিক জীবন যাত্রার যুগে তোমাদের এ সব নিয়ম নীতি অসার ও গ্রহণযোগ্য নয়।
যেমন তোমরা এখনো সুদকে হারাম মনে কর, অথচ অর্থনীতির দৃষ্টিতে ইহা খুবই জরুরী, কোন আধুনিক রাষ্ট্র সুদ ব্যবস্থা ছাড়া চলতে পারবেনা।
রাশেদঃ বন্ধু তোমার এসব কথা আসলে বাস্তবসম্মত নয়। তোমরা একটা নির্ধারিত নিয়ম পদ্ধতিকে একটা রাষ্ট্রের রূপরেখা ধরে নিয়েছ যা বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। আর অর্থনীতিতে সুদের খারাপ দিকগুলোও অস্বীকার করা যায়না।
ইসলাম সুদকে হারাম করেছে এটা ঠিক, তবে সুদ যে অর্থনীতিতে একটা অত্যাবশ্যকীয় বিষয় এটা ঠিক নয়।
পুঁজিবাদীরা ও একাধিপত্যবাদীরা সুদের কথা বলে, তারা বলেন এটা অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। ইহা ছাড়া কোন উপায় নেই। প্রকৃতপক্ষে ইহা শুধুমাত্র তাদের পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয় । অন্যদিকে পশ্চিমা পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদরা সুদ ব্যবস্থাকে অস্বীকার করেন, তারা মনে করেন, এ ব্যবস্থার ফলে ক্রমাগতভাবে মানুষ অর্থনৈতিক মন্দাতে পতিত হবে। কতিপয় লোকের হাতে সম্পদ গচ্ছিত থাকায় এতে অনেক সামাজিক মারাত্মক বিপর্যয় ঘটিত হবে। এতে ধীরে ধীরে অধিকাংশ লোক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা কিছুদিন আগের ভূমি ঋণ সমস্যার দিকে তাকালেই এটা বুঝতে পারব, এর ফলে বিশ্বব্যাপী কি ধরনের অর্থনৈতিক সংকট ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর আগে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তন্মধ্যে গত শতাব্দির ত্রিশ দশকের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা অন্যতম। এতে আমরা বিপর্যয়ের ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছি।
ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থা বিকাশের হাজার বছর আগে ইসলাম সুদ ও মজুত করণ হারাম করেছে।- আর এ দু’টোই হলো পুঁজিবাদী অর্থনীতির মূল । হে দোস্ত! ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা শুধুমাত্র ইসলামী শরীয়াতেরই প্রয়োজনীয় ব্যাপার নয়, বরং ইহা সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যাবশ্যকীয়।