আলোচনা কক্ষে আলোচনা শুরু করার নির্ধারিত সময়ে মাইকেল, রাশেদ ও রাজীব মিলিত হল। মাইকেল দুই বন্ধুকে অভিবাদন জানিয়ে কথা শুরু করল।
মাইকেলঃ আমি মনে করি আগের সাক্ষাৎ গুলোতে রাশেদের আলোচনা তার ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। আরও খোলাসা করা দরকার। জনাব রাশেদ তার ধর্মের উজ্জল দিক গুলো উপস্থাপন করতে সচেষ্ট হয়েছেন। আর অন্ধকার দিক গুলো পাশ কাটিয়ে গেছেন। আমরা স্বচক্ষে দেখছি, যে সন্ত্রাস আজ সারা বিশ্বকে আঘাত করছে তা হল বিশেষত ইসলামী সন্ত্রাস।
রাজিবঃ আমি তোমার সাথে আংশিক ভাবে এক মত। কিন্তু এ সন্ত্রাস সম্ভবত কোন ধর্ম বা জাতীর সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এমনটিই লক্ষ্য করেছি আমার দেশ ভারতে। যেখানে বিভিন্ন কারণে সহিংস ঘটনা ঘটে। সুতরাং সন্ত্রাসের এসব ঘটনার উৎস কি হতে পারে যে আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি?
মাইকেলঃ এটাই আমি আলোচনায় তুলতে চাচ্ছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে, সন্ত্রাস ইসলামের স্বত্বার মাঝে নিহিত। আর এ কথা তো জানা যে, ইসলাম তরবারির মাধ্যমে ছড়িয়েছে। জনাব রাশেদ আপনি কি এটা অস্বীকার করবেন?
রাশেদঃ অবশ্যই আমি তা অস্বীকার করব, এবং বাস্তবতাও তা অস্বীকার করবে।
মাইকেলঃ কোন বাস্তবতা আপনি বোঝাচ্ছেন?
রাশেদঃ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং বাস্তব ঘটনাবলী। তবে প্রথমে আমি বলতে চাই, আমাদের উচিৎ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ও স্বার্থবাজরা যে সব তথ্য প্রচার করে থাকে তা থেকে আমাদের মন-মস্তিষ্ককে মুক্ত করা।
রাজীবঃ আমি মনে করি, আমরা একটি স্বাধীন সমাজে বাস করি। এখানে আমাদের চিন্তাকে বিরূপ করার জন্য কোন ধরনের মুনশিয়ানা ও চাপ সৃষ্টি করা হয়না।
রাশেদঃ এটা ঠিক যে, আমাদের উপর কোন চাপ প্রয়োগ করা হয়না, এবং আমরা বিবেচনার ক্ষেত্রে স্বাধীন।তবে, অবশেষে আমরা সেটাই গ্রহণ করি যা প্রচার নিয়ন্ত্রক, রাজনীতিক ও স্বার্থবাজরা আমাদের জন্য উপস্থাপন করে। পশ্চিমা রাজনীতিক ও চিন্তাবিদরা ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েই চলছে। আবার তারা সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ক্রুসেড যুদ্ধের ডাক দিচ্ছে এবং তারা মনে করছে যে, তথাকথিত উদার ও মুক্তমনা পশ্চিমা সভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য তাদের এসব অভিযান।
মাইকেলঃ আমি ওয়াদা করছি, আমরা আগের মতই থাকব। সত্যকেই আমরা সমর্থন করব, তা যেখান থেকেই আসুক এবং যেমনই হোক।
রাশেদঃ ইসলাম যদি স্বভাবগতভাবে আক্রমণাত্মক ধর্ম হয়, এং তলোয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে, আর পশ্চিমারা নিজেদেরকে যে খৃষ্ট ধর্মের অনুসারী মনে করে তা যদি সহনশীলতার ধর্ম হয়, তাহলে বন্ধু তুমি কি জান? ‘তরবারি’ শব্দটি কোরানে কতবার উল্লেখ করা হয়েছে আর বাইবেলে কতবার কতবার উল্লেখ করা হয়েছে?
মাইকেলঃ সঠিক বলতে পারছিনা, তবে অবশ্যই বাইবেলে যতবার উল্লেখ করা হয়েছে কোরানে এর চেয়ে বেশী উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশেদঃ তাহলে শুনুন, আল কোরানে ১১৪টি সুরা আছে। এ সবে আছে ৬২৩৬টি আয়াত। শব্দ আছে ৭৭৪৩৯টি। ‘তরবারি’ বা এর কোন সমার্থক শব্দ আল কোরানে এক বারও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ আরবি ভাষায়তরবারির ৬০টির বেশী সমার্থক শব্দ আছে। পক্ষান্তরে বাইবেলে ‘তরবারি’ শব্দটি ২০০বারের ও বেশী উল্লেখিত হয়েছে।
মাইকেলঃ উঃ, সত্যিই বিস্ময়কর! আপনি কি ধর্মীয় বাস্তবতা বলতে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন?
রাশেদঃ বরং এটা শুধু অনেকগুলো বাস্তবতার একটি। তবে আমি এটির ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা করবনা যাতে অন্যগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ হয়।
রাজীবঃ এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা কি?
রাশেদঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেবাস্তবতা , তার কিছুটা তুমিও জান, বন্ধু রাজীব! সেটা হলো, বিশ্বের সবচেয়ে ঘন মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল গুলো, যার শীর্ষে রয়েছে, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চল সমূহ, এ সব অঞ্চলে মুসলিম বাহিনী মোটেও প্রবেশ করেনি। তেমনিভাবে আফ্রিকার বিস্তৃত অঞ্চলে।
এ ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে যোগ হবে নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের সাক্ষ্য যে, ইসলামের ইতিহাসে ইসলাম গ্রহণে চাপ সৃষ্টির কোন বিশ্বস্ত তথ্য তাদের কাছে প্রমানিত হয়নি।
মাইকেলঃ আপনার উল্লেখিত কিছু ঐতিহাসিকের বক্তব্যের বিপরীতে আমি কিছু ঐতিহাসিকের বক্তব্য উত্থাপন করতে পারব, যারা এর ব্যতিক্রম বলছেন। তাহলে কোনটা সঠিক?
রাশেদঃ অনেক প্রমান আছে যা আমার কথাকে সমর্থন করবে।
একঃ যে সব অঞ্চল মুসলিম বাহিনী সামরিকভাবে বিজয় করেছে এর অনেক এলাকার মানুষ মুসলিম শাসনের ছায়ায় তাদের পুরাতন ধর্ম পালন করত। এখনো অনেকে তাদের সে সব ধর্ম পালন করে আসছে। মিশর, ফিলিস্তীন, লেবানন ,গ্রীস ও ভারতে এমনই হয়েছে। এর বিপরীত চিত্র দেখতে পাই যখন খৃষ্টান বাহিনী স্পেন, জেরুজালেম ও ফিলিপাইন দখল করেছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ভাগ্যে তখন জুটেছিল, গনহত্যা কিংবা খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণে চাপ প্রয়োগ কিংবা দেশ থেকে বিতাড়ন।
দুইঃ মুসলিমদের বিজিত দেশগুলো থেকে যখন মুসলিম বাহিনীর ক্ষমতা শেষ হয়ে গেল। মুসলিম কিংবা অন্য কারোর কোন ধরণের চাপ না থাকা সত্বেও সেসব মুসলিম জাতীদেরকে ইসলাম থেকে সরে যেতে আমরা দেখিনা। বরং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মুসলিমদের মত অনেক মুসলিম জাতীকে আমরা দেখিছি যে তারা সমাজতন্ত্রের অগ্নি চাপের মুখেও গোপনে ইসলামকে লালন করেছে। তারা অপেক্ষমাণ ছিল যে, কখন এ দাম্ভিক শাসন শেষ হবে, যাতে তারা ইসলামের শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।
তিনঃ ইতিহাস আমাদেরকে এমন অ্নেক জাতীর কাহিনী শোনায় যারা মুসলিম দেশে আক্রমন করে তাদের সামরিক শক্তি ধংস করে অনেক ভূখন্ড জবরদখল করেছে। পরবর্তীতে মুসলমানদের সংস্পর্শে থাকার ফলে এরাই ইসলামের ছায়া তলে এসেছে যেমনঃ তাতার ও তুর্কী জাতি।
মাইকেলঃ ঠিক আছে তোমার কথা মেনে নিলাম যে, ইসলাম তলোয়ারের দ্বারা প্রসারিত হয়নি। তবে এবার আমরা ইতিহাস থেকে বর্তমান বাস্তবতায় আসি; তুমি কি আমার সাথে এ ব্যাপারে একমত হবেনা যে, বর্তমান বিশ্বে যে সব সন্ত্রাস হচ্ছে তা বিশেষভাবে ইসলামী সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে?!
রাশেদঃ প্রথমেই আমাদেরকে ঠিক করতে হবে সন্ত্রাস কি? এর পর বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখব বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসের রেখাচিত্র কারা তৈরী করছে?
রাজিবঃ বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো বা সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসের সংজ্ঞা নির্ধারনে একমত হতে পারেনি। তবে আমরা এ ব্যাপারে একমত হতে পারি যে, নিরাপরাধ লোকদের মাঝে ত্রাসের সৃষ্টি করে তাদের ইচ্ছা কে প্রভাবিত করা বা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক যে কোন ধরনের ফায়েদা লুফে নেয়া।
রাশেদঃ অবশ্যই সন্ত্রাসের সংজ্ঞা নির্ধারন না করা হচ্ছে কোন কোন দেশের পক্ষ হতে ইচ্ছাকৃত, যেন তারা এটাকে নিজেদের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে।তবে তোমার সংজ্ঞার সাথে আমি আরেকটু যোগ করব যে, এ ত্রাস সৃষ্টিকারী-ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্র যেই হোক না কেন তা সন্ত্রাস বলে গন্য হবে।
মাইকেলঃ তোমার সংযোগে কোন অসুবিধে নেই। এর উপর ভিত্তি করে যখন আমরা বিশ্বময় ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করি তখন দেখতে পাই যে, ২০০১ সালে আমেরিকার টুইনটাওয়ারে হামলা, মাদ্রিদে ট্রেনে বিস্ফোরণ, ইন্দোনেশিয়ার বালীতে পশ্চিমা টুরিস্টদের উপর বোমা হামলা ও ফিলিস্তিনিদের কর্তৃক ইহুদিদের উপর হামলা ইত্যাদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মুসলমানদের দ্বারাই হচ্ছে ।
রাশেদঃ থাম থাম বন্ধু, ফিলিস্তিনিদের দ্বারা যা কিছু হচ্ছে তা হলো সে দখলদারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, যার আছে সন্ত্রাসের কালো ইতিহাস। আমরা দেখেছি, কিভাবে একটা পূর্ন জাতির নিজস্ব ভূমি জবরদখল করে তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যেমনঃ
আল শায়েখ প্রদেশে ৩১/১২/১৯৪৭ সালের গনহত্যা, যাতে প্রায় ৬০০ জন নিরাপরাধ লোক ঘরে বসে প্রাণ হারায়।
ইয়াছিন আশ্রম এর গ্রামে ১০/৪/১৯৮৪ সালের গনহত্যা, যাতে প্রায় অর্ধেক গ্রামবাসীর প্রাণহানী হয়।
১১/৭/১৯৪৮ সালে আল লুদ এর গনহত্যা, যাতে ৪২৬ জন লোক যারা মসজিদে জমা হয়েছিল তাদেরকে হত্যা করে। ইহুদিরা ঝটিকা হামলা করে তাদেরকে হত্যা করে।
১০/১৯৬৫ সালে কাফর আল কাসেম এর গনহত্যা, যাতে নারী, শিশু মিলে প্রায় ৯৪জন লোকের প্রাণহানী হয়।
১৮/৯/১৯৮২ সালে সবরা ও সাতিলার গনহত্যা, যা লেবাননে সংঘটিত হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী শ্যারোনের নেতৃত্বে লেবাননের খৃষ্টান সেনাবাহীনির সহযোগীতায় এ গনহত্যা সংঘটিত হয়। ৭২ ঘণ্টাব্যাপী ৩৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী ও লেবাননী নারী, শিশু ও বৃদ্ধলোক মারা যায়। ইসলামী পরিচয় ছাড়া এ সব লোকদের আর কোন অপরাধ ছিলনা।
২৫/৪/১৯৯৪ সালে আল ইব্রাহীম মসজিদের গণহত্যা, যা একজন ইহুদি সেনা অন্যান্য সেনাসদস্য ও ঔপনিবেশিকদের সহযোগীতায় করেছিল। এতে মসজিদের মধ্যে ২৯জন মুসল্লী এবং মসজিদের বাহিরে ৫০ জন লোক নিহত হয়। ৩৫০ জনেরও অধিক মুসল্লী আহত হয়।
তবে তোমাকে আরো বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তোমার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো ব্যাপক করছি, ১৯৯৫ সালে ওকলাহোমায় ফেডারেল ভবনে হামলা, যাতে ১৬৮ জন লোক নিহত ও ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয় এবং ৭/২০১১ সালে অসলো ও অটোয়া দ্বীপের হত্যাকান্ড, যাতে ৯২ জনের অধিক নিহত ও ৯০ জনেরও বেশি আহত হয় , এ সব হত্যাকান্ড খৃস্টান উগ্রপন্থীদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছিল।
এমনিভাবে আমরা যদি সন্ত্রাসের সাথে কোন ধর্ম বা সভ্যতার সম্পর্ক খুঁজি তবে আধুনিক যুগের এ বাস্তবতাগুলো কে উপেক্ষা করতে পারবনাঃ
কোন মুসলিম দেশ আজ পর্যন্ত কোন পশ্চিমা রাষ্ট্রের উপর হামলা করেনি, পক্ষান্তরে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, আদিকাল ও বর্তমান যুগেও পশ্চিমা দেশগুলোর সর্বদা লক্ষ্যবস্তু মুসলিম দেশ।
আমেরিকার হিন্দু সম্প্রদায় আধুনিক সভ্যতার ধব্জাধারীদের হাতে ব্যাপক গণহত্যার শিকার হয়ে তাদের সংখ্যা ১০ মিলিয়ন থেকে কমে ২লক্ষে উপনীত হয়েছে। উপরন্তু তাদের উপর লুটপাট চালানো হয়।
পশ্চিমারা বিশ্বে দুটি ধংসাত্মক যুদ্ধের সৃষ্টি করেছে, যে দু’টিকে বিশ্ব যুদ্ধ নামে আখ্যায়িত করা হয়। মূলতঃ এ দুটি-বিশেষ করে প্রথমটি- ইউরোপিয়ান যুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় বিশ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তদ্রুপ সংখ্যক লোক আহত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন লোক নিহত ও ৫৩ মিলিয়ন লোক আহত হয়েছিল। আর তিন মিলিয়ন লোক নিখোঁজ হয়েছিল। এদের অধিকাংশই ছিল উপনিবেশের বাসিন্দা এবং সাধারন নাগরিক। কারণ, নিরাপরাধ নাগরিকদেরকে হত্যা করে শত্রুর মনোবল দুর্বল করা সেসব যুদ্ধবাজদের অন্যতম প্রসিদ্ধ নীতি ছিল।
এমনিভাবে যদিও আমরা নিরাপরাধ লোকের উপর আক্রমন করা অন্যায়, এব্যাপারে একমত । তবে যেসব কারনগুলো এসব ঘটনাগুলোর সংঘটনকারীদেরকে অনুপ্রানিত করে তা আমরা অস্বীকার করতে পারবনা। তারা মনে করে এসব ঘটনা আমেরিকা ও পশ্চিমাদেরকে মুসলমানদের প্রতি তাদের শত্রুতা ও সন্ত্রাস হতে বিরত রাখবে।বিশেষ করে ইরাক অবরোধ ও ইহুদি কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মম নির্যাতনে সহযোগীতা হতে।
রাজীবঃ তাহলে খোলাসা কথা হল, সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নেই, তার নেই কোন সভ্যতা।
রাশেদঃ এর কোন ধর্ম নেই এ ব্যাপারে একমত, কিন্তু পশ্চিমাদের সভ্যতার ব্যাপারে দ্বিমত, বিশেষ করে তাদের সভ্যতার মাপকাঠি হলো সংঘাত ও শক্তির পূজা , যার সাথে সম্পর্ক রয়েছে আগ্রাসী তৎপরতার। আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতার মূল ভিত্তি মিশে আছে গ্রীস ও রোমান সভ্যতার সাথে। এসব সভ্যতার চিন্তাধারায় ছিলঃ দাম্ভিকতা, শক্তির পূজা ও সংঘাতের অনিবার্যতা। এ সব চিন্তা ধারা থেকে পশ্চিমা আধুনিক সভ্যতা প্রভাবিত হয়েছে। যিশু খৃষ্টের শিক্ষা তাদের এ সব চিন্তা ধারার পরিবর্তন করতে পারেনি, যেসবের ফলে ফলে ইউরোপ ও সারা বিশ্ব জুড়ে তাদের ভয়াবহ কর্মকান্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে।
মাইকেলঃ আগামী আলোচনায় আবার দেখা হবে।