নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) খাতেমুন নাবিয়্যীন ওয়াল মুরসালিন (সর্বশেষ নবী ও রাসুল) । ঈসা (আঃ) বনী ইসরাইলকে শেষ নবীর সুসংবাদ দিয়েছেন। স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু। (ছফঃ ৬)
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) এর আগমনের সুসংবাদ তাওরাত ও ইঞ্জিলে ছিল। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। (আ’রাফঃ ১৫৭)
এমনকি আল্লাহ তায়া’লা সকল নবী রাসুলদের থেকে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) এর ব্যাপারে এ অঙ্গিকার নিয়েছেন যে, তিনি যদি তাদের জীবদ্দশায় প্রেরিত হন তাহলে তারা তার উপর ঈমান আনবেন, তাকে সাহায্য করবেন। সকল নবীরা তাদের উম্মতকে এ খবর পৌঁছে দিয়েছেন, যাতে সব জাতির মাঝে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। (আলে ইমরানঃ ৮১)
মহাগ্রন্থ আল কোরআন সে সুসংবাদের দিকে ইশারা দিয়েছে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) এর নবুয়্যাতের সত্যতা প্রমাণে ইহা দলিল হিসেবে পেশ করেছে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ কাফেররা বলেঃ আপনি প্রেরিত ব্যক্তি নন। বলে দিন, আমার ও তোমাদের মধ্যে প্রকৃষ্ট সাক্ষী হচ্ছেন আল্লাহ এবং ঐ ব্যক্তি, যার কাছে গ্রন্থের জ্ঞান আছে। (রা’দঃ ৪৩)
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে। তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে? (শুয়ারাঃ ১৯৬-১৯৭)
আহলে কিতাবরা আশা করত তারা হবে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) এর উপর প্রথম ঈমান আনায়নকারী, যেহেতু তারা তাকে এমনভাবে জানত ও চিনত যেভাবে তারা নিজেদের সন্তানদেরকে জানত ও চিনত। আল্লাহ তায়া’লা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ আমি যাদেরকে কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চেনে, যেমন করে চেনে নিজেদের পুত্রদেরকে। আর নিশ্চয়ই তাদের একটি সম্প্রদায় জেনে শুনে সত্যকে গোপন করে। (বাকারাঃ ১৪৬)
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রসূল আগমন করলেন-যিনি ঐ কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের কাছে রয়েছে, তখন আহলে কেতাবদের একদল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল-যেন তারা জানেই না। (বাকারাঃ ১০১)
পূর্ববর্তী নবীদের এ সুসংবাদ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালামের উপর প্রযোজ্য। তিনি সে রাসুল যার আগমনের বার্তা পূর্ববর্তীরা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কতিপয় এ সত্য গোপন করেছে, তাদের পবিত্র গ্রন্থে যা ছিল তা অস্বীকার করল, ইহাকে তারা পশ্চাতে নিক্ষেপ করল, যেন তারা জানেই না।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম এক আল্লাহর তাওহীদ নিয়ে এসেছেন, যার কোন শরিক নেই, যেমনিভাবে অন্যান্য নবী রাসুলগণ এ দাওয়াত নিয়ে এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই এবাদত কর। ( আম্বিয়াঃ ২৫)
এমনিভাবে ইনি তাঁর পূর্ববর্তী সব নবী রাসুলগণের সত্যায়নকারী, তাদের সকলের উপর কোন পার্থক্য ছাড়া ঈমান আনয়নকারী। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। (বাকারাঃ ১৩৬)
বরং যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনল, কিন্তু কোরআনে বর্ণিত অন্যান্য যে কোন একজন নবী বা রাসুলের উপর ঈমান আনলনা, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালামের উপরই ঈমান আনলনা। তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। (শুরাঃ ১৩)
আল্লাহ তায়া’লা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি আল্লাহর বান্দাহঃ বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে। (কাহাফঃ ১১০)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম নিরক্ষর ছিলেন, লিখতে বা পড়তে পারতেননা। পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে তাঁর গুনাবলী এভাবেই বর্ণিত হয়েছে; যেন আহলে কিতাবগন তাঁর গুনাবলী দেখে তাঁকে চিনতে পারে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। (আ’রাফঃ ১৫৭)
আল্লাহ তায়া’লা তাঁর দ্বারা অনেক দৃশ্যমান মুজিযা সংঘটিত করেছেন যেমনিভাবে তিনি অন্যান্য নবী রাসুলদের দ্বারা করিয়েছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় মুজিযা হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন, যাতে পূর্ব ও পরবর্তীদের অনেক ঘটনা, বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত ও সুসংবাদ রয়েছে। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ। (নাহলঃ ৮৯)
আর রয়েছে, মু’মিনদের জন্য গভীর জ্ঞান। এটা মানুষের জন্যে জ্ঞানের কথা এবং বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়েত ও রহমত। (জাসিয়াঃ ২০)
মানুষ যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য করেছে সে সব বিষয়ে এই নিরক্ষর নবী কোরআনের দ্বারা মীমাংসা করেছেন। আমি আপনার প্রতি এ জন্যেই গ্রন্থ নাযিল করেছি, যাতে আপনি সরল পথ প্রদর্শনের জন্যে তাদের কে পরিষ্কার বর্ণনা করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে। (নাহলঃ ৬৪)
কুরাইশরা তাঁর সত্যতা ও আমানতদারীতা জেনে তাঁকে আল আমিন উপাধিতে ভূষিত করা সত্বেও তাঁকে মিথ্যারোপ করেছে। তাই আল্লাহ তায়া’লা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন তারা সকলে মিলে বরং জীন ইনসান সবাই মিলে কোরআনের অনুরূপ একটি গ্রন্থ রচনা করতে। বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়,এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না। (বনী ইসরাইলঃ ৮৮)
তারা তাঁকে মিথ্যারোপ করেছে অথচ তারা এর অনুরূপ কিছুই আনতে পারেনি, যদিও তাদের ভাষাগত অনেক দক্ষতা ও পান্ডিত্য ছিল। অতঃপর তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হলো যে, সকলে মিলে কোরআনের অনুরূপ দশটি সূরা রচনা করে আনতেঃ তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে। (হুদঃ ১৩)
এতেও তারা অক্ষম হলো। অতঃপর চ্যালেঞ্জ করা হলো যে কোরআনের অনুরূপ একটি মাত্র সূরা আনয়ন করতেঃ " অবতীর্ণ আমার আমি একটি এতদসম্পর্কে এর এস। করে করেছি,তাহলে কোন তোমাদের থাকে নিয়ে প্রতি বান্দার মত যদি যা রচনা সন্দেহ সূরা"(বাকারাঃ ২৩)
এতেও তারা অক্ষম হলো, যদিও তারা বাগ্মিতা ও সাহিত্য রচনাশৈলিতে অনেক পারদর্শী ছিল।
কুরাইশ কাফেরেরা তাঁকে মিথ্যারোপ করতেই লাগল। আল্লাহ তায়া’লা তাঁকে ধৈর্যধারণ করতে বললেন, যেভাবে তাঁর পূর্ববর্তী অন্যান্য উচ্চ সাহসী পয়গম্বরগণ যেমনঃ ইবরাহীম, নুহ, মূছা ও ঈসা আলাহিস সালামকে ধৈর্যধারণ করতে বলেছিলেন। অতএব, আপনি সবর করুন, যেমন উচ্চ সাহসী পয়গম্বরগণ সবর করেছেন। (আহকাফঃ ৩৫)
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম ধৈর্য ধারণ করলেন, তার দাওয়াতী মিশন চালিয়ে গেলেন, তিনি লোকদেরকে আল্লাহর পথে ডাকলেন, তাঁর কথা ও চরিত্রের মাধ্যমে লোকদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, ফলে আল্লাহ তায়া’লা তাঁর হেফাযতের জন্য যথেষ্ট ছিলেন, বস্তুত তিনি তাকে হেফাযত করেছেন। হে নবী,আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। (আনফালঃ ৬৪) আল্লাহ কি তাঁর বান্দার পক্ষে যথেষ্ট নন? (যুমারঃ ৩৬)
তিনি তাঁকে সাহায্য করেছেন, যেমনিভাবে তিনি অন্যান্য নবী রাসুলগণকে সাহায্য করেছেন। আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী। (মুজাদালাঃ ২১)
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী। (সূরা সাফফাতঃ ১৭১-১৭৩) আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে। (সূরা আল-মু’মিনঃ৫)
কাফেরেরা তাঁর রিসালাতকে প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল, তারা এ আলোকে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করলেনঃ তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। (ছফঃ ৮-৯)
তিনি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করলেন, ইসলামকে বিজয়ী করলেন, সব ধর্মের মধ্যে আল্লাহর তাওহীদকে সুদৃঢ় করলেন, মানবজাতির উপর এই রিসালাত ও দ্বীনের মাধ্যমে তাঁর নেয়ামত পরিপূর্ণ করলেন। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। (মায়েদাঃ ৩)
বরং তিনি নিজেই এই ধর্মকে হেফাযত করেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত এ রিসালাত অবশিষ্ট থাকবেঃ আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। (হিজরঃ ৯)
ইহা হলো রিসালাতের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ রিসালাতঃ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। (আহযাবঃ ৪০)
এ জমিন ও তার মধ্যকার যা কিছু আছে তা যতদিন টিকে থাকবে এ রিসালাতও ততদিন টিকে থাকবে।
তাহলে এটা কোন রিসালাত যা কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তায়া’লার সংরক্ষণে টিকে থাকবে?!