- আল্লাহর সাহায্য কামনা করো
"এখন যে হাজার হাজার ব্যথিত মানুষ মানসিক হাসপাতাল গুলোতে চিৎকার করছে, তারা যদি অবলম্বন ও সহযোগী হীনভাবে একাকী জীবন যুদ্ধে অবতীর্ন না হয়ে প্রভূর সাহায্য কামনা করতো তাহলে তাদের মুক্তির হয়তো সম্ভাবনা ছিল।"।
- ধার্মিক ও রোগী
আমি খুব স্মরণ করি সে সব দিনগুলো যখন মানুষ শুধু বিজ্ঞান ও ধর্মের বিরোধ নিয়েই আলোচনা করত। কিন্তু এখন সে তর্ক চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। কারণ, সর্বাধুনিক মনো বিজ্ঞান ধর্মের মৌলিক নিয়ম নীতি প্রচার করে, কিন্তু কেন?! কারণ, মানসিক ডাক্তারগন মনে করেন যে, মজবুত ঈমান, ধর্মাচার, ও প্রার্থনা উদ্বেগ, ভয় ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা দমন করার জন্য, এবং আমরা যে সব রোগে ভুগছি এর অর্ধেক নিরাময় করার জন্য যথেষ্ট। তাই ডঃ এ এ ব্রেল বলেছেন, সত্যিকার দ্বীনদার ব্যক্তি কখনো মানসিক রোগে ভোগে না।
- গভীর হোন
দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন যথার্থই বলেছেন, “ অল্প দর্শনই মানুষকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে দর্শনে গভীরতা ধর্মের পথে তাকে ফিরিয়ে আনে।
- ধার্মিকতা রোগের জন্য প্রতিকার
মানসিক ডাক্তাররা মনে করেন যে, মজবুত বিশ্বাস, ধর্মাচার, উদ্বেগ ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা দমন করার জন্য এবং এসব রোগ নিরাময় করার জন্য যথেষ্ট।
- আত্মিক আনন্দ
"আমার কাছে এখন দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বড় নেয়ামত হিসেবে বিবেচিত, যেমনিভাবে জীবন যাপনের জন্য শক্তি, সুঠাম খাদ্য ও নির্মল পানির খুবই প্রয়োজন। এসব কিছু মানুষকে আরামদায়ক জীবন দান করে, কিন্তু দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা এর চেয়েও বেশি। ইহা আমাকে আত্মিক আনন্দ যোগান দেয়, অথবা উইলিয়াম জেমসের ভাষ্যমতে, ইহা জীবন যাপনের জন্য শক্তির সঞ্চয় করে, পরিপূর্ণ, সুখী ও পরিতুষ্ট জীবনের জন্য ইহা চালিকাশক্তি। ইহা আমাকে ঈমান আনয়ন, আশা ও বীরত্বে সাহায্যকারী। আমার থেকে ভয়ভীতি, বিষণ্নতা ও অস্থিরতা দূর করে। ইহা জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বুঝতে পাথেয় স্বরূপ। ইহা আমার সম্মুখে শান্তির সীমানা বিস্তৃত করে, জীবনের মরুময় ময়দানে সবুজ শ্যামল উর্বর চরিত্রের পথ খুলে দেয়"।