- আল্লাহ কর্তৃক মানুষকে মর্যাদা প্রদান
"ইসলামই হল আল্লাহ তায়ালার বিধান, আমাদের চার পাশে প্রকৃতির মাঝে তা আমরা দেখতে পাই। এক মাত্র আল্লাহর নির্দেশে পাহাড় সমুদ্র গ্রহ নক্ষত্র বিচরণ করে এবং নিজ কক্ষ পথে সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়। এ গুলো তাদের সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর নির্দেশের অধীন। এমনিভাবে এই জগতের প্রতিটি অনু এমনকি জড় বস্তুও এ নিয়মের অধীন। ব্যতিক্রম শুধু মানুষ। কারণ আল্লাহ তায়ালা তাকে ইচ্ছার স্বাধীনতা দান করেছেন। তাই ইচ্ছা করলে সে আল্লাহর বিধানে চলতে পারে, ইচ্ছা করলে নিজে নিজের বিধান রচনা করবে এবং নিজের পছন্দের দীনের উপর চলতে পারে। দুঃখের বিষয় হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ দ্বিতীয় পথটি গ্রহণ করেছে। "
- নবুয়তের আলামত
"মুর্খ সমাজে বেড়ে ওঠা নিরক্ষর মুহাম্মাদ কিভাবে জগতের অলৌকিক বিষয় গুলো জানতে পেরেছিল? যা আল কোরআন বর্ণনা করেছে এবং আধুনিক বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতএব, অবশ্যই তা আল্লাহর কালাম ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।"
- আসল নির্ভেজাল
ইসলাম মুহাম্মদের নিজের পক্ষ থেকে আগত কোন নতুন ধর্ম নয়। বরং যখন যীশুর আকাশে উত্তোলনের ছয়শ বছর পর জমিনে সে দ্বীন প্রচার হল, তখন তা সে অহি প্রচার করেছে যা সাবেক সব আসমানী ধর্মের মাঝে ছিল। তিনি তাকে তার নির্ভেজাল আসল রূপে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সুতরাং আল্লাহ যত নবী পাঠিয়েছেন সবাই মুসলিম ছিলেন এবং তাদের বার্তাও সর্বদা এক ছিল।
- আল্লাহর কালাম
আমি যখন কোরআন কারীম পাঠ সমাপ্ত করলাম, আমাকে এমন অনুভুতি আচ্ছন্ন করল যে, কোরআনই সৃষ্টি ও অন্যান্য জিজ্ঞাসার সন্তোষ জনক উত্তর দেয় এবং তা ঘটনাবলী যৌক্তিকভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে, যা অন্যান্য ধর্মীয় কিতাবে পরস্পর বিরোধীভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর কোরআন সেসব ঘটনা আকর্ষণীয় বিন্যাসে ও আকাট্য শৈলীতে আলোচনা করেছে। এর সত্যতা এবং এটা যে আল্লাহর বাণী এসব ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
- মহাবিশ্বের বিস্ময়
"জাহেলিয়াতের যুগে বসবাস করে একজন নিরক্ষর লোক মুহাম্মদ কিভাবে কোরআনে উল্লেখিতি মহাবিশ্বের সে সব রহস্য সম্পর্কে জানল যা এখনও আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি? ইহা এটাই প্রমাণ করে যে, ইহা আল্লাহ তায়া'লার কালাম"।