একটি রৌদ্রময় বিকেলে তিন বন্ধু পূর্বের সময়মত সেন নদীর তীরে আসল। রাজিব তার বন্ধুদেরকে একটি স্পেশাল বিলাসবহুল নৌযানে ডাকল। তিন বন্ধু দাঁড়িয়ে নদীর চমৎকার দৃশ্য, সবুজ শ্যামল ঘেরা চারপাশ দেখতে লাগল। রাশেদ আকাশপানে দৃষ্টিপাত করে দু’বন্ধুকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলঃ
নদী-নালা, সমুদ্র, গাছপালা, পশুপাখি, মানুষ এবং আমরা এ বিশ্বে যা কিছু দেখি, বরং যা কিছু দেখিনা... সব কিছুই অলৌকিক হিকমত বা প্রজ্ঞার স্পষ্ট প্রমাণ যা মানব জীবনের স্পন্দন যোগায়। এগুলো প্রমাণ করে যে এ বিশ্বের একজন স্রষ্টা বা প্রতিপালক আছে, তোমরা কি আমার সাথে একমত?
রাজিবঃ আমরা পূর্বের আলোচনায় একমত হয়েছিলাম যে, এ মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা থাকা জরুরী। তবে আমাদের পূর্ণ পরিতৃপ্তির জন্য এর সাথে সম্পৃক্ত কিছু কিছু ব্যাপারে আলোচনা -পর্যালোচনা করা দরকার।
মাইকেলঃ আমি মনে করি আমাদের ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু রাজিব সত্য স্রষ্টার গুণাবলী কি হওয়া দরকার বলে যে বিষয়ে উত্থাপন করেছে সে বিষয়ে আগে আলোচনা করা দরকার।
রাশেদঃ আমরা যে ধরায় বসবাস করি এবং সৃষ্টিজগতের যে সৃজনশীলতা দেখি, সেটার সাথেই তোমরা যা খুঁজতেছ তার সাথে গভীর সম্পর্ক আছে, যেহেতু ঈমানের মূল হলো আল্লাহ সত্য এ বিশ্বাস; সেটা হলো, এ বিশ্ব সম্পর্কে তোমার কাছে সঠিক ধারণা থাকা, তুমি নিজেও যে বিশ্বের অন্তর্ভূক্ত। আর তা হবে, এর সমস্ত উপাদান, গঠন এবং এতে অবস্থিত সবকিছুর সৃষ্টির উদ্দেশ্য জানার মাধ্যমে।
মাইকেলঃ আমরা মেনে নিলাম এ বিশ্বে একজন স্রষ্টা আছেন, কিন্তু এ স্রষ্টার ধরণ বা কল্পনা বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন রকমের, এমনকি এগুলো এতই ভিন্ন ও বিরোধপূর্ন যে মানুষ দিশেহারা হয়ে এ সবের থেকে ভেগে যায়, আর প্রায় নিরীশ্বরবাদ জীবন যাপন করে, যদিও কেউ কেউ সরাসরি এটা স্বীকার করেনা।
রাশেদঃ তুমি ঠিকই বলেছ বন্ধু, কিন্তু আমি একটু সংযোগ করব যে, এ ভেগে যাওয়া তাকে একজন উপাস্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হতে তাকে বিরত রাখেনা,বরং প্রকৃতপক্ষে যারা ইলাহকে অস্বীকার করে সে নিজে নিজেকেই ইলাহ মনে করেন, সে তার খামখেয়ালীকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয়। অবাধ্য নাস্তিকেরা আল্লাহর স্বীকৃতি ও ঈমান হতে ভেগে গিয়ে অন্য এমন বস্তুর দিকে ধাবিত হয় যাকে ঐসব গুনের অধিকারী মনে করে যা একমাত্র ইলাহের জন্য হতে পারে। আর তা করে থাকে শুধুমাত্র ইলাহ সম্পর্কে তাদের ভ্রান্ত ধারণা হতে পলায়ন করার জন্যই।
রাজিবঃ যখন আমরা ইলাহর গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করতেছি তখন আমরা একথা বলতে পারি যে, ইলাহ হবেন মহান, প্রিয় এবং একই সময় পরাক্রমশালী। মানুষ তাঁর প্রতি মুখাপেক্ষীতা অনুভব করবে হবে। এটা মানুষের দিক থেকে। কিন্তু এ সব গুণাবলী প্রকৃতপক্ষে মানুষের অবস্থার আলোকে পাওয়া যায়। ফলে একাধিক ব্যাক্তি একাধিক ইলাহের ব্যাপারে এমন গুনাবলী লক্ষ্য করতে পারে। তাই আমাদেরকে ইলাহহের এমন কিছু গুণাবলী উপস্থাপন করতে হবে যে ব্যাপারে সব মানুষই একমত।
রাশেদঃ তোমার কথা খুবই সুন্দর এবং সঠিক.... আমরা সেটাই আলোচনা শুরু করে তা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের সকলের স্বীকারোক্তি যে, অবশ্যই একজন ইলাহ আছেন, আমরা আরো একমত হয়েছিলাম যে, এই সুবিন্যাস্ত বিশ্বে একজন শক্তিশালী স্রষ্টা আছেন, যিনি এটাকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন। এই স্রষ্টাকেই আমরা রব বা প্রতিপালক বলি। এই রবই আমাদেরকে ও সব সৃষ্টিকূলকে সৃষ্টি করেছেন,তিনিই প্রকৃতপক্ষে উলুহিয়্যাত বা ইলাহ হওয়ার যোগ্য ও ইবাদত পাওয়ার অধিকারী। তাঁকে ছাড়া কাউকে ইবাদত করা উচিত নয়। অর্থাৎ তুমি যেভাবে বলেছ যে, তাঁর মর্যাদা, ভালবাসা, ভয়, আশা ইত্যাদি ছেড়ে অন্য কারো দিকে ফেরা বা কোন কিছু আশা করা উচিত নয়। এভাবেই আমরা প্রকৃত ইলাহ বা আল্লাহর গুণাবলী মোটামোটিভাবে বুঝতে পারি।
রাজিবঃ যখন তোমার কথা মেনে নিলাম, তখন আমি বলতে পারি যে, আল্লাহর প্রথম গুণ হলো সদা বর্তমান, তিনি চিরঞ্জীব, এমনিভাবে তিনি সব সৃষ্টিকূলের স্রষ্টা।
রাশেদঃ তোমার কথা সঠিক, এটা আরো একটা বিষয় জরুরী করে তোলে, আর সেটা হলো এ ইলাহর জাত (স্বত্তা) ও সিফাত (গুণাবলী)সৃষ্ট নয়, কারণ সৃষ্টিকারী কখনো সৃষ্টজীব হতে পারেন না। কেননা, যদি তিনি সৃষ্টজীব হবেন তবে তিনি আমাদের মতই হবেন, তাঁরও একজন স্রষ্টা থাকবেন, ফলে তিনি ইলাহ হতে পারেন না, আর তাঁকে ইবাদত ও করা যায়না। তাই সব সৃষ্টিকূলের কেউই ইলাহ হতে পারেন না।
মাইকেলঃ তাহলে আমাদের জানা উচিত স্রষ্টার অর্থ কি?
রাশেদঃ সংক্ষেপে বলতে পারি যে, স্রষ্টা হলেন পূর্ব কোন নমুনা বা সাদৃশ্য ছাড়া কোন কিছুর উদ্ভাবক ও সৃষ্টিকারী, অর্থাৎ যিনি অনস্তিত্ব থেকে সব কিছুকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি একমাত্র অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনতে সক্ষম। তিনিই এ সৃষ্টিকূলকে সুন্দরভাবে সুবিন্যাস্ত করে সৃষ্টি করেছেন, এতে রয়েছে অনেক হিকমত বা প্রজ্ঞা, তিনি অনর্থকভাবে সৃষ্টি করেননি, বা এগুলো এমনি এমনিতেই সৃষ্টি হয়নি।
আর সৃষ্টজীবের অত্যাবশ্যকীয় গুণাবলী হলোঃ তার সৃষ্টির পূর্বে কোন অস্তিত্ব ছিলনা, অর্থাৎ সে নতুন সৃষ্ট, তাঁর শুরু আছে, তার অবশ্যই একটা শেষ রয়েছে, তাঁর ক্ষমতা ও সক্ষমতাও সীমাবদ্ধ, সর্বদা অন্যের প্রতি মূখাপেক্ষী।
রাজিবঃ যখন এমন ইলাহ স্রষ্টা হবেন তখন অবশ্যই তিনি তাঁর সৃষ্টিজীবের মালিক হবেন।
যখন আমরা বললাম, আসমান-জমিন আল্লাহর, তিনি সৃষ্টি করেছেন, তখন এটা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে যে, তিনি সব কিছু জানেন, কেননা কোন কিছু যদি তাঁর কাছে গোপনীয় থাকে তবে –সে গোপন আবস্থায়-বান্দা স্রষ্টা থেকে স্বাধীন হয়ে যাবেন। আল্লাহর জ্ঞানের প্রমাণ হলোঃ আমাদের দেখা সৃষ্টিজীবকে তিনি প্রজ্ঞা, নির্ভুলতা এবং পরিপূর্ণতা দিয়ে তৈরি করেছেন, আর এটা পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী না হলে সম্ভবপর নয়।
রাশেদঃ মালিকানার ফলে এটা বর্তায় যে, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুর উপর তাঁর কর্তৃত্ব ও অধিকার রয়েছে। তাঁর মালিকানা ও পূর্ণজ্ঞান থাকার কারনে এটা প্রমাণ করে যে, তাঁর রয়েছে সবকিছু নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা, সৃষ্টিকূলের জন্য আইনকানুন করা তাঁর অধিকার একমাত্র তাঁরই।
মাইকেলঃ কিন্তু আমিও তো কিছু কিছু জিনিসের মালিক, আমিও তো অনেক কিছু জানি, এগুলো কি তাহলে ইলাহ হওয়ার প্রমাণ করে?... আমার মনে হয় একথা ঠিক নয়!
রাশেদঃ তোমার এ কথাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হে বন্ধু, আমি মনে করি এভাবে একটার পর একটা গুণাবলী উল্লেখ করা- যদিও এগুলো গুরুত্বপূর্ণ-আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ করে দিবে, এরচেয়ে আমরা এমন একটা সাধারণ মূলনীতি ঠিক করব যেটা এসব গুণাবলীর মাপকাঠি হবে এবংএর দ্বারা আমরা আল্লাহর গুণাবলী বের করতে পারব। তোমরা আমাকে একটু সুযোগ দাও, আমি তোমাদের কাছে এ মূলনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করব, এগুলো প্রকৃতপক্ষে আমার ইসলামি জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আমি ধারণা অনুযায়ী বলছি।
মাইকেল ও রাজিবঃ বল....
রাশেদঃ সংক্ষেপে এ মূলনীতি হলোঃ
প্রথমতঃ সাধারনত জাতী সিফাত বা মূল সত্ত্বাগত গুণাবলীকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়ঃ অপূর্ণ গুণাবলী, পূর্ণ গুণাবলী। পূর্ণগুণাবলী হলোঃ ভাল গুণাবলী দ্বারা গুনান্বিত করে তাঁর বিপরীত খারাপ গুণাবলী থেকে মূক্ত রাখা। আর অপূর্ণ গুণাবলী হলোঃ খারাপ গুণাবলী দ্বারা গুনান্বিত করে তার বিপরীত ভালো গুনাবলীকে বাদ দেয়া।
অতএব, খারাপ গুণাবলী থেকে মুক্ত থাকতে হলে, এর বিপরীত গুণাবলীতে গুণান্বিত হতে হবে, অর্থাৎ পরিপূর্ণ গুণাবলীর অধিকারী হওয়া। নতুবা খারাপ গুণ না থাকার অর্থ হবে, কোন একটা অপূর্নতা। কেননা জাত বা সত্ত্বার সাথে কোন গুণাবলী না থাকা আবার অপূর্ণতা ও অক্ষমতা।
দ্বিতীয়তঃ সৃষ্টজীব যেসব গুণাবলী নিজেদের সাথে সম্পৃক্ত করতে অপছন্দ করে, সে সব গুণাবলীও স্রষ্টার জন্য সাব্যস্ত করা যাবেনা। মাখলুক যেসব জিনিস থেকে দূরে থাকে সেগুলো খারাপ গুণাবলী, অতএব আল্লাহ তায়া’লা এগুলো থেকে মহা পবিত্র ও মুক্ত। এ সব খারাপ গুণাবলী কোন ভাবেই আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করা যাবেনা, কেননা আল্লাহ পাক হলেন সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণ।
তৃতীয়তঃ স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে পার্থক্য হলোঃ স্রষ্টার অনুরূপ কোন কিছু নেই... আর আমাদের বর্ণিত যেসব গুণাবলী স্রষ্টা ও সৃষ্টি উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়,যেমনঃ মালিকানা, ইলম, রহমত, ভালবাসা.. ইত্যাদি এগুলো প্রকৃত অর্থে উভয়ের ক্ষেত্রে এক হতে পারেনা। কেননা স্রষ্টার গুণাবলী মাখলুকের গুণাবলীর মত নয়, যেহেতু মাখলুকের গুণাবলী অপূর্ণতা এবং উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন উপসর্গ থেকে খালি নয়।
মাইকেলঃ যদি তুমি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলতে তাহলে আরো ভাল হতো।
রাজিবঃ তুমি যে পয়েন্টগুলো আলোচনা করেছ যদি উদাহরণগুলো তার সাথে ব্যাখ্যা কর এবং সেসব উদাহরণগুলো যদি বিগত আলোচনা হতে অথবা বাস্তবতার আলোকে হয় তাহলে ভাল হয়।
রাশেদঃ ভাল, প্রথম পয়েন্টঃ সব জ্ঞানীরাই একমত যে, দুর্বলতা একটি অপূর্ণতার গুণ, এমনিভাবে অন্যের মুখাপেক্ষী ও অপূর্ণতার গুণ। এ দু’গুণের কোন একটিও ইলাহের গুণ হতে পারেনা, বরং তিনি এ থেকে মুক্ত, আবার একই সময় তিনি এর বিপরীত পূর্ণতার গুণে গুণান্বিত। আর তা হলো শক্তিশালী ও অমুখাপেক্ষী। এজন্যই আমাদের মহাগ্রন্থ আল কোরআন তিনিটি শব্দের দ্বারা
ঈসা আঃ ও তাঁর মাতা মারিয়াম আঃ এর ইলাহ বা খোদা হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে, সেগুলো হলোঃ আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তারা খাবার খেতেন” (সুরা মায়েদাঃ আয়াত ৭৫) অতএব যার খাবার গ্রহনের প্রয়োজনীতা আছে তাঁর ক্ষুধার ও অনুভূতি আছে, আর এতে তাঁর দুর্বলতা ও দৈন্যতা প্রকাশ পায়। আর যে খাবার খায় সে অন্যান্য মানুষের মত খাবারের মুখাপেক্ষী হয়, অতএব তারা দুজন বা তাদের কোন একজনও ইলাহ বা আল্লাহ হতে পারবেন না, কেননা তাদের মাঝে ইলাহের গুণাবলী বাস্তবায়িত হয়নি।
এমনিভাবে, সন্তান গ্রহণ করাঃ সত্য ইলাহ মুখাপেক্ষী সৃষ্টিজীবের সাদৃশ হতে পারেনা। কেননা মানুষ বংশ বৃদ্ধি, সাহায্য কামনা, উত্তারাধিকারী করণ বা অন্যান্য কারনে সন্তান নেয়, আর এসব কিছুই মুখাপেক্ষীতা ও অপূর্ণতার গুণ, যা ইলাহের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনা।
আর দ্বিতীয় পয়েন্ট হলোঃ সব জ্ঞানীরাই অক্ষমতার গুণের সাথে নিজেকে গুণান্বিত করতে অস্বীকার করবে। অতএব, আল্লাহ তাআলা তো এসব গুণের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়ার অধিক উপযুক্ত। বরং এর বিপরীত পূর্ণতার গুণে তিনি গুণান্বিত, আর তা হলো সক্ষমতা (কুদরত)। এটা এভাবে যে, ঈসা আঃ যখন শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অক্ষম হলেন, অথবা, মূর্তি বা প্রাণী যা কিছু মানুষ ইলাহ হিসেবে মানে তারা যখন নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেনা, তাহলে তারা অন্যকে, তাদের ইবাদতকারী ও ভালবাসাকারীকে ও রক্ষা করতে অক্ষম। এটা তো স্পষ্টভাবেই বুঝা যায়। সুতরাং অক্ষম কেউ সত্যিকারের ইবাদাতের উপযুক্ত ইলাহ হতে পারেনা।
জ্ঞানীরা সবাই অত্যাচার ও জুলুমের গুণে গুণান্বিত হতে অপছন্দ করেন, ফলে সত্য ইলাহ জুলুম করেন না, তিনি ন্যায়পরায়ণ। এমনিভাবে সব অপরিপূর্ণতাকে বাদ দিলে তার বিপরীত পূর্ণতার সব গুণাবলী সাব্যস্ত হয়।
পরিশেষে, তৃতীয় পয়েন্টঃ উদাহরণ স্বরূপ বলব। ইলম বা জ্ঞানের গুণ, এটা ভাল গুণ, এর বিপরীতটা খারাপ, তা হলো মূর্খতা। জ্ঞানী হওয়া পূর্ণতার গুণ আর মূর্খতা অপুর্ণতা ও দোষ। আল্লাহ পাক পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী, কেননা তিনি সর্বময় সার্বজনীন জ্ঞানের অধিকারী, ও সব ধরণের অজ্ঞতা ও মূর্খতা থেকে মুক্ত।
আর মানুষের ক্ষেত্রে জ্ঞানের পূর্ণতা হলো আপেক্ষিক, কেননা সে কিছু বিষয়ের জ্ঞানে গুণে গুণান্বিত, কিন্তু আবার একই সময় সে অন্য কিছু ব্যাপারে অজ্ঞতার দোষে গুণান্বিত। অতএব পরিপূর্ণতা মানুষের ব্যাপারে আপেক্ষিক ব্যাপার, এভাবে বাকি গুণাবলী সমূহ।
মাইকেলঃ অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে শীত অনুভব করছি, আমার মনে হয় আজ রাতে এ পর্যন্তই যথেষ্ট।