রাশেদ ও মাইকেল দুপুরের খাবার শেষ করল... রাশেদ চোখ উপরে উঠিয়ে বলা শুরু করলঃ
প্রিয় মাইকেল! তুমি আমার দিকে সমালোচনার অনেকগুলো তীর নিক্ষেপ করেছ, আমাদের সভ্যতাকে একটা অপবাদের খাঁচায় বেঁধে রেখেছ।
মাইকেলঃ আসলে আমি তোমাকে সমালোচনার তীর নিক্ষেপ করিনি, তোমাকে কোন অপবাদও দেইনি হে দোস্ত! এটা শুধুমাত্র আলোচনা-পর্যালোচনা যাতে আমরা সঠিক একটা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি। আমি মনে করি আমরা এ আলোচনার মাধ্যমে সে লক্ষ্যে অনেক খানি পথ পাড়ি দিয়েছি। সাথে সাথে অনেক কিছু আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া আমি তোমার প্রশস্ত হৃদয় ও সুবিশাল মনের পরিচয় পেয়েছি। আমার আগের কোন কথায় কি তুমি বিরক্ত হয়েছ?
রাশেদঃ না, না, বিরক্ত হইনি, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হলো, বিষয়টি পূর্ন স্পষ্ট করার জন্য এর সব দিক নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আর পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করতে গেলে আমাদের ও তোমাদের সমাজের নারীদের অবস্থান নিয়ে তুলনা করা দরকার। আমি মনে করি আমার আগের আলোচনা দ্বারা ইসলামী সমাজের নারীদের অবস্থা তোমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এখন তোমাদের সমাজের নারীদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা বাকি রইল।
মাইকেল (হেসে হেসে)ঃ এই যে আমি সমালোচনার তীর গ্রহণ করতে আমার বুক খুলে দিলাম, আর আমার খাঁচার দরজা খোলা রইল।
রাশেদ (মুচকি হেসে)ঃ কেন আমরা নিজেরা নিজেদেরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানের ঠেলে দিচ্ছি? আমি তো আগেই বলেছি যে,আমাদের মাঝে যা আছে তা হলো, পারষ্পরিক সংলাপ ও সহযোগীতার সম্পর্ক;এর মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো সঠিক ও বাস্তবতায় উপনীত হওয়া।
মাইকেলঃ তোমার সাথে পূর্নএকমত। তাহলে কোথা থেকে শুরু করব?
রাশেদঃ আমি মনে করি আমাদেরকে সমাজ-সভ্যতার আলোকে নারীর মর্যাদা কি তা নিয়ে আলোচনা প্রথমে শুরু করা যায়।
মাইকেলঃ নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত,তাদের সাথে আচরনের ধরণ ইত্যাদি ভিন্ন হয়ে থাকে ব্যক্তির বেড়ে উঠা, শিক্ষা-দীক্ষা ও সংস্কৃতি ভেদে। তাই এ ক্ষেত্রে নারীর মর্যাদার বিষয়টি কোন কিতাব বা রেফারেন্স বইয়ের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।
রাশেদঃ এটা ঠিক, কিন্তু যেসব মৌলিক উৎসসমূহ ব্যাক্তির সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ গঠন করে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব ফেলে সেসব তো আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। আমি এসব মৌলিক উৎসসমূহ দ্বারা শুধু কিতাব বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎসই বুঝাচ্ছিনা। বরং ঐ ধরনের সকল উৎসই উদ্দেশ্য যা ব্যাক্তির চেতনা ও সংস্কৃতি গঠনে প্রভাব ফেলে; তাই এসব কখনো প্রচলিতকাহিনীবা পৌরাণিক কাহিনী হতে পারে, আবার কখনো প্রবাদ ও বিজ্ঞকথা হতে পারে যা চেতনাহীন সমষ্টি থেকে স্বতন্ত্র চেতনাকে জাগ্রত করে। এ অর্থে উক্ত উৎসসমূহ ব্যাক্তির বেড়ে উঠা ও শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
মাইকেলঃ আমি মনে করি আসমানী কিতাবসমূহে নারীর অবস্থান ও মর্যাদা অনেকটাই অভিন্ন। এ ক্ষেত্রে তোমাদের কোরআনের সাথে আমাদের পবিত্র গ্রন্থের অনেকটাই মিল আছে। এসব দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে অন্যতম হলোঃ নারীর সৃষ্টির ধরণ, সে পুরুষের থেকে সৃষ্টি হয়েছে, তার কারনেই মানুষের প্রথম ভুল এবং জান্নাত থেকে বের হওয়া, তার সামাজিক অবস্থান ও দায়-দায়িত্ব।
রাশেদঃ তোমার কথার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি ভিন্ন মত পোষণ করি; প্রথম ভুল ও আদম ও হাওয়া আঃ কে জান্নাত থেকে বের করার বিষয়টি তোমাদের কিতাব থেকে আমাদের কিতাবে আলাদাভাবে এসেছে। কোরআন হযরত হাওয়া আঃ কে হযরত আদম আঃ এর জন্য শয়তানের প্ররোচনার জন্য দায়ী করেনি। ফলে জান্নাত থেকে বের হওয়ার জন্য নারীকে দায়ী করা যাবেনা।
আর তোমাদের পবিত্র গ্রন্থে নারীর মর্যাদা ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে,, কন্যা সন্তানের জন্ম মায়েদের অপবিত্রতাকে বৃদ্ধি করে দেয়!
ইঞ্জিলে এসেছেঃ “যখন নারী গর্ভবতী হয় ও পুত্র সন্তান জন্ম দেয় তখন সে সাত দিন অপবিত্র থাকে, যেমনিভাবে মাসিকের দিনগুলোতে সে অপবিত্র থাকে, অতঃপর পবিত্র রক্ত আসতে তেত্রিশ দিন হিসেব করা হবে। আর যদি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় তবে সে দুইসপ্তাহ অপবিত্র থাকে, যেমনি ভাবে মাসিকের সময় অপবিত্র থাকে, অতঃপর পবিত্র রক্ত আসতে ছিষট্রি দিন গণনা করতে হবে”।
নারীর সামাজিক কাজকর্মের ব্যাপারে খৃস্টানদের দৃষ্টিভঙ্গি হলোঃ নারীরা গীর্যার ভিতরে মুখ খুলতে পারবেনা।
নিউ টেস্টামেন্টে প্রথম করিন্থিয়ান্স বলেছেনঃ গীর্যায় তোমাদের নারীরা যেন চুপ থাকে, কেননা তাদেরকে সেখানে কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি, বরং তারা নিচু ও নম্র হয়ে থাকবে যেভাবে ফেরেশতারা থাকে। তবে যদি তারা কিছু শিখতে চায় গৃহে পুরুষদেরকে যেন জিজ্ঞেস করে নেয়, কেননা গীর্যায় নারীদের কথা বলা খুবই জঘন্য কাজ”। এসবের কিছুই কোরআনে নেই।
মাইকেলঃ প্রকৃত পক্ষে আমাদের সমাজে যে উন্নতি ঘটেছে তা বুঝতে হলে তার মধ্যে যে গ্রিক ও রোমান সংস্কৃতির মিশ্রন ঘটেছে সে সংস্কৃতিগুলোকেও বুঝতে হবে। অনুরূপভাবে প্রটিসট্যান্টদের ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব, ইউরোপের রেনেসাঁ যুগের চিন্তা-ভাবনার ফলাফল, ফান্সের নবজাগরণের প্রভাব, শিল্প বিপ্লবের ফলে সমাজের পরিবর্তন ইত্যাদির দিকে খেয়াল না করলে আমাদের উন্নতি বুঝা যাবেনা।
রাশেদঃ তুমি গ্রিক ও রোমান সংস্কৃতির কথা বলেছ, সে যুগের সভ্যতা ও ইতিহাস দেখলে বুঝবে যে, নারীদের ব্যাপারে তাদের অনেক অধ:পতন রয়েছে।
গ্রিক সভ্যতায় যখন নারী নিয়ে আলোচনা করব তখন দেখবে যে, সে যুগে নারীরা সব ধরনের স্বাধীনতা, ইচ্ছা ও সামাজিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত ছিল। তারা নারীদের মর্যাদাকে উড়িয়ে দিত, তাদেরকে জন্তু জানোয়ারের মত বেচা-কেনার প্রাণী মনে করত। তাদেরকে বেচা-কেনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করত, আইনীভাবে তাদের পৌত্রিক সম্পত্তির অধিকার ছিলনা। গ্রিক সভ্যতা যখন ধীরে ধীরে উন্নতি হল, তখন নারীদের অবস্থারও মৌলিক ও পরিবর্তন ঘটল, ফলে তারা বিভিন্ন ক্লাবে আসা যাওয়া শুরু করল ও পুরুষের সাথে মেলা মেশার সুযোগ পেল, এতে যেনা ব্যবিচার বেড়ে গেল। পতিতাদের গৃহগুলো তখন রাজনীতি ও সাহিত্যের কেন্দ্রে পরিনত হল। শিল্প-সাহিত্যের নামে উলঙ্গ নারীদের মূর্তি গ্রহণ করা হত।
সামান্য পার্থক্য ছাড়া রোমান সভ্যতায় নারীর প্রকৃত অবস্থা প্রায় একই রকম ছিল। তারা নারীকে পুরুষের তুলনায় নীচু মনে করত, তাদের সাথে যথেচ্ছা ব্যবহার করত। রোমান আইনে নারীরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এরপরে নারীদের ব্যাপারে রোমানদের দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। এখনো তাদের এ পরিবর্তন পরিবার, বিবাহ, তালাক ইত্যাদি আইনে দেখা যায়। এর ফলে অবস্থা পুরো উলটে যায়, ফলে বিবাহের কোন অর্থই তাদের কাছে আর বাকী রইলনা, এবং নারীদেরকে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে ও মালিকানায় অধিকার দেয়া হয়েছে।এরপরে নারী-পুরুষের সম্পর্কের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এলো যা কোন বৈধ বন্ধন ছাড়াই হতো।
মাইকেলঃ তোমার সাথে আরো যোগ করে বলবঃ ইউরোপ যখন খৃষ্টান ধর্মে প্রবেশ করেছ তখন সমষ্টিগতভাবে গীর্জার দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে গ্রিক ও রোমান সভ্যতার অনেক প্রভাব ঘটেছে।তখন নারীদের ব্যাপারে খৃষ্টান ধর্মযাজকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত চলমান অবস্থা দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়েছে।
রাশেদঃ হ্যাঁ, যখন খৃষ্টান ধর্মযাজকেরা রোমান সমাজের নারীদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের ফেতনা ফাসাদ, যেনা-্ব্যব্যাভিচার ইত্যাদি দেখে দিশেহারা হল এবংসামাজিক ও চারিত্রিক চরম বিপর্যয় দেখল, তখন তারা ভাবল যে, এ সবের জন্য নারীরাই দোষী। তারা ঘোষণা করল যে, নারীরা শয়তানের দরজা, সৌন্দর্যের কারনে তাদেরকে লজ্জিত ও নীচু হয়ে থাকতে হবে, কেননা ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টিতে নারীরা হলো ইবলিসের অস্ত্র। এভাবে নারীদেরকে পশ্চিমারা মধ্যযুগ পর্যন্ত অপমানিত ও অধিকার বঞ্চিত করে রেখেছিল। এমনকি অশ্বচালনা যুগ পর্যন্ত চলল; যখনমনে করা হতো, নারীরা সামাজিক কিছু অধিকার পেয়েছে, তখনো স্বামীর অনুমতি ছাড়া তাদের অর্থনৈতিক কোন অধকার ছিলনা।
মাইকেলঃ কিন্তু বন্ধু, আমাদের আলোচনা কিইতিহাসের দিকে চলে যাচ্ছেনা?! আমরা এখান থেকে সরাসরি বর্তমান যে যুগে বসবাস করি সে যুগের পরিবর্তনের শুরুতে পৌঁছতে পারি, আর তা হলো রেনেসাঁ যুগ, এরপর ফরাসি বিপ্লব ও এর পরের অবস্থা।
রাশেদঃ এটা ইতিহাস নয়, বরং ঘটনার মূল থেকে অনুসন্ধান। আমি লক্ষ্য করছি, বাহ্যিক কিছু ভিন্নতা থাকলেও পশ্চিমা বিশ্বের নারীর বর্তমান অবস্থা ও ইতিহাসের সেসব অবস্থানের সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
তুমি কি এ সব ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও পশ্চিমা বিশ্বে নারীদের অধিকারের সাদৃশ্য খুঁজে পাওনা?!
মাইকেলঃ তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছ?
রাশেদঃ যেমনঃ নারীকে বিনোদন ও উপভোগের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা। পাশ্চাত্য সমাজের নারীরা যখন আইনের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকার পেল তখন আরেকটা বিষয় তারা আবিষ্কার করতে পারল যে, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। যেমনঃ তালিকায় তারা পুরুষের অধিন্যস্ত, কিন্তু তাদের আর্থিক দায়-দায়িত্ব থাকবে। তারা স্বামীর ব্যক্তিত্বের সাথে আবদ্ধ থাকত, তাদের এ সব নিষেধাজ্ঞা বিংশ শতাব্দীর শুরুতে মাত্র সমাধান করা হয়েছে।
মাইকেলঃ কিন্তু অবশেষে নারীরা তাদের অধিকার পেয়েছে, সব ক্ষেত্রে তারা পুরুষের সমান, এমনকি বিভিন্ন চাকুরী ও নিয়োগের ক্ষেত্রেও।
রাশেদঃ কিন্তু পাশ্চাত্যে এখনো নারীরা জুলুমের স্বীকার ও অধিকার বঞ্চিত,যদিও এসবের কিছু কিছু আইন ও সনদের মাধ্যমে দূর হয়েছে, তবে এখনো ব্যাপক হারে এসব চালু আছে, যদিও জুলুম ও জুলুমের কারন নামে মাত্র পরিবর্তন হয়েছে । এসব আন্দোলনের নামে পুরুষেরা নারীদের দ্বারা সম্পদ অর্জনের ফাঁদ পাতে, আনন্দ ও মজা নেয়ার জন্য আসর জমায়। তাদেরকে পন্য দ্রব্যে পরিণত করে বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের মনোরঞ্জন করে, বিজ্ঞাপনওয়ালাদের সম্পদ অর্জনের একটা উসিলা বানায়। এটা নারীর জন্য চুড়ান্ত অপমান। এজন্য কয়েকটি দেশে নারীরা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে তাদেরকে ব্যাবহার না করার দাবীতে গর্জে উঠেছে।
সুইডেনের বিচারপতি ব্রিগেড ওভ হাহের নারী স্বাধীনতা ও সমান অধিকারের ব্যাপারে বলেনঃ “সুইডেনের নারীরা হঠাৎ আবিষ্কার করল যে, তারা অনেক চড়া মূল্য তথা তাদের প্রকৃত শান্তির বিনিময়ে অনেক বড় একটামোহ ক্রয় করেছে আর তা হচ্ছে তাদের, প্রাপ্ত তথাকথিত নারী স্বাধীনতা।”
পশ্চিমা দেশগুলোর নারীদের অবস্থা সম্পর্কে ইউরোপীয় কমিশনের একটি রিপোর্টে দেখা যায় যে, নারী স্বাধীনতা ও সমঅধিকারের নামে কিভাবে শুধু শ্লোগান আওড়াচ্ছে যার কোন অর্থ ও বাস্তবতা নেই। এ রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ইউরোপীয় কোন কোম্পানিই নারীদের উচ্চ পদে চাকুরির যে সব কাল্পনিক বাঁধা আছে তা ভাঙ্গার যথাযথ চেষ্টা করেনি।
ইউরোপীয় কমিশনের সামাজিক বিষয়ক কর্মকর্তা এয়ানাদিমান্তু পুলু বলেনঃ ব্যবসায়িক ও কর্ম জগতে নারী-পুরুষের পার্থক্য পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ইউরোপে নারীরা সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২০% ও ৩০% ভাগ, আর বেসরকারী কোম্পানিতে তাদের উচ্চ পদে চাকুরির গড় ফান্সে ২%, জার্মানীতে ৩%, বৃটেনে ৬.৩%,। তাছাড়া ব্যাংকে তাদের উচ্চ পদে চাকুরীর ভাগ ৫%।
এ কমিশন আরো বলেন যে, ধারাবাহিক ভাবে নারী-পুরুষের বেতনের পরিমাণের ও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে প্রশাসনিক কার্যাবলীতে, যেখানে নারীর বেতন পুরুষের বেতনের চেয়ে ১৬% কম।
মাইকেল (কথা থামিয়ে)ঃ আমার মনে হয় রেলগাড়ি শেষ স্টেশনে পৌঁছে গেছে, এখন আমাদের মালামাল নিয়ে নামার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।