খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে রাশেদ ধীরে ধীরে একটি বই ও ব্যাগে ল্যাপটপ নিয়ে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আসল। নিকটে এসেই দ্রুত সম্ভাষণ জানিয়ে তাদের জবাবের অপেক্ষা না করেই কথা শুরু
করলঃ আজকে বন্ধু মাইকেলের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করব। হ্যাঁ, আমি আজ তোমাদেরকে ইসলামের কতিপয় বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করব, সকলেই একমত যে, ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ হলোঃ ইসলামের নবী মুহাম্মদের সাঃ উপর ঈমান আনা। আমি তোমাদের জন্য মুহাম্মদ সাঃ সম্পর্কে পশ্চিমা চিন্তাবিদের লেখা একটি বই এনেছি, শুনো তিনি কি বলেছেনঃ
মাইকেলঃ থাম হে বন্ধু রাশেদ, আমি মনে করেছিলাম ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য হবে ইলাহ বা আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা কি হবে সে ব্যাপারে।
রাশেদঃ তোমার কথা ঠিক আছে... কিন্তু আমি এ ব্যাপারটি বিভিন্ন কারনে কেটে গেছি, এর অন্যতম কারণ হলোঃ
ইসলাম মূলত রাসুলের রিসালাহ বা নবুয়্যতী বাণী। ইহা কেউ ধারণা করতে পারেনা যে, ইলাহ সম্পর্কে ইসলামের ধারণা রাসুলের (সাঃ) বানানো নতুন কোন ব্যাপার। বরং আদম আঃ থেকে শুরু করে ঈসা আঃ পর্যন্ত যত নবী রাসুল আগমন করেছেন তাদের সকলেরই ধর্ম ছিল ইসলাম। বরং ইসলাম হলো সব মানব জাতির মূল ধর্ম। যা ঘটেছে তা হলো মানব জাতি এ ধর্মকে পরিবর্তন করেছে, এর মূলরূপ রেখাকে বিকৃত করেছে। অতঃপর ইসলাম এসে পুনরায় আল্লাহর উপর ঈমান আনাকে সঠিক করেছে, সকল মানবজাতিকে এক আল্লাহর দিকে ডেকেছে, তাঁর সাথে শরিক করতে নিষেধ করেছে। ইসলামে আল্লাহর উপর ঈমান ও তাঁর একত্ববাদ স্বীকার মানব সৃষ্টির শুরু থেকে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পুনঃনবায়ন মাত্র, এটা পৃথিবী শেষ হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। এটা এমন ধর্ম যা ইসলামের নবীর জন্মের আগেই ছিল।
দ্বিতীয়তঃ আমরা ইতিপূর্বে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি আমি মনে করি সে গুলোকে আবার আলোচনা না করে বাদ দিয়ে যাব।
রাজিবঃ তোমার কথার উদ্দেশ্য কি এই যে, ইসলামে সত্য ইলাহের গুণাবলী বাস্তবায়িত হয়েছে, যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি?
রাশেদঃ হ্যাঁ, ইহাই সঠিক।
রাজিবঃ তাহলে অন্য আলোচনার আগে তুমি যদি সংক্ষেপে ইলাহ সম্পর্কে ইসলামী ভাবনার রূপরেখাটি আলোচনা করতে।
রাশেদঃ আচ্ছা ঠিক আছে..., ইসলামে রব বা প্রতিপালক হলেন একজন, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, এ পৃথিবীর সব কিছুই তিনি অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি করেছেন, পৃথিবীতে তাঁর অনুরূপ কিছুই নেই, তিনিই মহাবিশ্বের আইন প্রণয়ন করেছেন, যাকে আমরা (প্রকৃতির আইন) বলি। তিনি সব কিছু নির্দিষ্ট পরিমান ও পদ্ধতিতে সৃষ্টি করেছেন, তিনি সব কিছু থেকে মহান, সর্বাপেক্ষা বড়, সব কিছুর উপরে।
তাঁর স্বত্বা, গুণাবলী, কাজকর্ম ইত্যাদির অনুরূপ কিছুই নেই, তাঁর রয়েছে নিরঙ্কুশ পরিপূর্ণতা, কোন দিক থেকে তাঁর অপূর্ণতা নেই, তিনি মহাপবিত্র, তিনি কাউকে জন্ম দেননি, আবার কারো থেকে জন্ম গ্রহণও করেন নি। কেউ তাঁর সমকক্ষ নয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি জীবন মৃত্যু দান করেন, সৃষ্টির কোন কিছুতে তিনি অবস্থান করেননা আবার তাঁর স্বত্বার মধ্যেও কোন মাখলুক অবস্থান করেনা।
এই প্রতিপালকই একমাত্র ইলাহ, যিনি ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদত করা বৈধ নয়। তাঁর রাজত্বে কেউ তাঁর অংশীদার নয়, তাঁর কোন মন্ত্রী, উপদেষ্টা বা সাহায্যকারী নেই যাদেরকে তাঁর সাথে ইবাদত করা যাবে। তাঁর কাছে পৌঁছতে কোন মাধ্যম বা সুপারিশকারী লাগেনা, তাঁর জন্য ইবাদত হবে সব দিক থেকে একনিষ্ঠভাবে।
মাইকেলঃ তুমি যে বই নিয়ে এসেছ তাতে কি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
রাশেদঃ বইটিতে মানব ইতিহাসের চিরস্থায়ী মহান লোকদের কথা বলা হয়েছে, লেখক হলেনঃ ডক্টর মাইকেল হার্ট, যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গাণিতবিদ, তিনি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় কাজ করতেন।
মাইকেলঃ তার ঐতিহাসিক গবেষণার কারণ কি?
রাশেদঃ ঐতিহাসিক গবেষণা এ বিজ্ঞানীর মজার শখ ছিল। তিনি লক্ষ্য করলেন যে, কোটি কোটি মানুষের মাঝে বিশ্বকোষ মাত্র বিশ হাজার মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে উল্লেখ করেনি, তখন তিনি তাদের মধ্য হতে মহামানবদেরকে বাছাই করার জন্য কিছু মূলনীতি ঠিক করলেন। এর গুরুত্বপূর্ন মূলনীতিগুলো হলোঃ ব্যক্তির বাস্তবিকতা থাকা অর্থাৎ , কাল্পনিক বা অপরিচিত না হওয়া এবং খুব প্রভাব বিস্তারকারী হওয়া, চাই সেটা ভাল কাজে হোক বা খারাপ কাজে হোক। এ প্রভাব বিশ্বব্যাপী হতে হবে, এবং মানব ইতিহাসের সাথে বিস্তৃত হতে হবে। আমি মনে করি এ মূল ভিত্তিগুলো খুবই সুন্দর।
রাজিবঃ এ লেখকের মতে কে সবচেয়ে বেশি মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী? !
রাশেদঃ এ লেখক ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ কে একশত মহান ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে রেখেছেন। তার এ নির্বাচনের অনেকগুলো কারণ ছিল, সেগুলো হলোঃ
এরপর রাশেদ বইটি খুলে ও পড়া শুরু করলঃ
“আমি মুহাম্মদ সাঃ কে এ তালিকার সবার উপরে রেখেছি, এতে হয়ত অনেকেই আশ্চর্যবোধ করবে, তারা আশ্চর্য হতেই পারেন, তবে মুহাম্মদ সাঃ ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি যিনি দ্বীন ও দুনিয়া উভয় ক্ষেত্রে পূর্ণ সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি অন্যান্য মহান ধর্মের প্রবর্তকের মত ইসলামের দিকে লোকদেরকে ডেকেছেন, তিনি রাজনৈতিক, সামরিক ও ধর্মীয় একচ্ছত্র নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর তেরশত বছর পরও তাঁর প্রভাব এখনো শক্তিশালী ও নবজীবনপ্রাপ্ত।"
এরপর তিনি বলেছেনঃ " ......এটা অদ্ভুত মনে হতে পারে যে, মুহাম্মদ এ তালিকায় সবার উপরে, অথচ খৃষ্টানদের সংখ্যা মুসলমানদের চেয়ে দ্বিগুণ, এটা হয়ত অদ্ভুত মনে হতে পারে যে তিনি তালিকায় সবার উপরে অথচ ঈসা আঃ তালিকায় তিন নম্বরে, আর মুসা আঃ ষোল নম্বরে।
তবে এর অনেকগুলো কারণ রয়েছেঃ এর অন্যতম হলোঃ ইসলামের প্রচার কাজ, ইহা প্রতিষ্ঠা ও এর শরিয়তের বিধিবিধানগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত করতে রাসুল মুহাম্মদ সাঃ এর ভূমিকা ঈসা আঃ এর তুলনায় অনেক বেশী ভয়ানক, কষ্টকর, ও মহান ছিল। তাছাড়া ঈসা আঃ খৃস্টানদের জন্য শুধু চারিত্রিক কিছু মূলনীতি নিয়ে এসেছেন, আর সেন্ট পল ঈসাই ধর্মের মূলনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি (সেন্ট পল) নিউ টেস্টামেন্টে যা কিছু আছে তা লিখার দায়িত্বশীল ছিলেন।
অন্যদিকে মুহাম্মদ সাঃ নিজেই ইসলামের নীতিমালা, শরিয়তের মূলনীতিসমূহ, সামাজিক ও চারিত্রিক মূলনীতি, মানুষের দ্বীন ও দুনিয়ার চলার জন্য সব ধরণের লেনদেনের মূলনীতি ইত্যাদি সব কিছুর ব্যাপারে একমাত্র দায়িত্বশীল ছিলেন। কোরআন একমাত্র তাঁর উপরই নাযিল হয়েছে, কোরআনে মুসলমানেরা দ্বীন-দুনিয়ার প্রয়োজনীয় সব কিছুই পেয়ে থাকে।" তোমরা কি এ কথায় আশ্চর্য হচ্ছ?!
রাজিবঃ বাস্তবেই কথাগুলো ভাবনার উপযুক্ত। তবে আমি বলতে চাইঃ এ লেখক মানব গবেষনায় বিশেষজ্ঞ নয়।
রাশেদঃ যদিও তিনি মানব গবেষনায় বিশেষজ্ঞ নন, তবে তাঁর কথাগুলো সন্তোষজনক ও নিরপেক্ষ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন ইহুদি হওয়া সত্যেও মুহাম্মদ সাঃ এর পক্ষে কথা বলেছেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই, যদি তুমি আরো প্রমাণ চাও তবে আমি আরো কিছু উল্লেখ করতে পারি।
অতঃপর রাশেদ তার ল্যাপটপ বের করল, সে কিছু ফাইল থেকে পড়া শুরু করল, বলতে লাগলঃ
দেখ হে বন্ধুঃ
ফ্রান্সের কবি ল্যামারটিন (Lamartine ) বলেছেনঃ মুহাম্মদ সাঃ মানবিক যে মহত্ব লাভ করেছেন আর কে সে রকম মহত্ব লাভ করতে পেরেছে?!, তিনি যে পূর্ণতায় পৌঁছেছেন সেখানে কোন মানুষই পৌঁছতে পারেনি! মুহাম্মদ সাঃ স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে বিদ্যমান সব বাতিল আক্বিদা ধ্বংস করেছেন।
জার্মান প্রথম কবি গ্যাটে বলেছেনঃ আমি ইতিহাসে এ মানব জাতির জন্য সর্বোচ্চ মহান আদর্শের খোঁজ করেছি, অতঃপর আরবের নবী মুহাম্মদ সাঃ এর মাঝে সে মহান আদর্শ খুঁজে পেয়েছি।
রাশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক ও দার্শনিক ল্যেভ তল্স্তোয় (Leo Tolstoy) বলেছেনঃ “আমি নবী মুহাম্মদের ব্যাপারে একজন আশ্চর্যান্বিত ও অবাক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ পাক শেষ নবুয়্যাত দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তিনিই যাতে শেষ নবী হন”।
প্রসিদ্ধ আইরিশ লেখক, চিন্তাবিদ, যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, জর্জ বার্নার্ড শ (George Bernard Shaw) বলেছেনঃ “আমি ইসলামের নবী মুহাম্মদের জীবনী বার বার ভালভাবে পড়েছি, তার জীবনীতে মহান চরিত্রই পেয়েছি যেভাবে তাঁর হওয়া উচিৎ। আমি কতইনা আকাঙ্ক্ষা করেছি যে, ইসলামই বিশ্বের অনুসৃত পথ হবে। আমি মুহাম্মদের জীবনী পড়েছি একজন আশ্চর্যজনক ব্যক্তি হিসেবে, অতঃপর দেখলাম, তিনি ঈসা আঃ এর সাথে তুলনা হতে অনেক উর্ধ্বে বরং তাঁকে বলা যায়(মানবতার রক্ষাকারী ও ত্রাণকর্তা)”।
মাইকেলঃ এ সব আলোচনা মুহাম্মদ সাঃ এর মহত্ত্বের ব্যাপারে, কিন্তু তোমার কাছে কি প্রমাণ আছে যে, মুহাম্মদ সত্যিই আল্লাহর নবী?
রাশেদঃ শুন হে বন্ধু! সুইজ্যারল্যাণ্ডের ধর্মতত্ত্ববিদ ডক্টর হান্স কং (Dr. Hans Kong) কি বলেন, তিনি বলেন মুহাম্মদ সাঃ প্রকৃতার্থেই একজন নবী, একথা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবেনা যে, মুহাম্মদ সাঃ ই একমাত্র সফলতা ও মুক্তির পথপ্রদর্শক”।
এছাড়াও মুহাম্মদ সাঃ এর নবী হওয়ার ব্যাপারে অনেক দলিল প্রমাণ আছে।
মাইকেলঃ যদি তুমি পার তবে আমাদের কাছে সেগুলো পেশ কর, তার অল্প কিছু হলেওবল।
রাশেদ তার ল্যাপটপে কিছু ফাইল খুলে বলতে লাগলঃ
নবী মুহাম্মদের সাঃ এর সত্যতার অন্যতম প্রমাণ হলোঃ পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে তাঁর আগমনের সুসংবাদ। তাওরাতে (ওল্ড টেস্টামেন্টের দ্বিতীয় বিবরণী গ্রন্থ/ Deuteronomy) (অধ্যায় ১৮. অনুচ্ছেদঃ ১৫-৩০) আছেঃ রব মুসা সাঃ কে ডেকে বললেনঃ “আমি তাদের কাছে তাদের ভাইদের মধ্য হতে তোমার মতোই একজন নবী পাঠাব। নবীআমার কথাই সে তার মুখ দিয়ে বলবে, আমি যা আদেশ করব তাসে লোকদেরকে বলবে। এই নবী আমার হয়ে যা বলবে তা যে গ্রহণ করবেনা আমি তার থেকে প্রতিশোধ নিব।”
একথা সর্বজন স্বীকৃত যে, বনী ইসরাইলের ভাই হলো ঈসমাইল আঃ এর বংশধর (অর্থাৎ আরব জাতি), এছাড়াও মুসা আঃ ও মুহাম্মদ সাঃ এর মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, রবের বাণী (আমার কথাই সে তার মুখ দিয়ে বলবে) এটা প্রমাণ করে যে, ইসলামের নবী উম্মী বা পার্থিব লেখা পড়া জানবেনা।
নিউ টেস্টামেন্টে যোহনের বাণী (Gospel of John) (অধ্যায় ১৪, অনুচ্ছেদঃ ১৫)ঃ
ঈসা আঃ তাঁর সাথীদেরকে বললেনঃ আমি চলে যাচ্ছি, অচিরেই তোমাদের কাছে অধিক প্রশংসিত ব্যাক্তি আসবে , তিনি সত্য আত্মা , যিনি নিজের থেকে কিছু বলবেন না, তাঁকে যা বলা হবে তাই বলবে, তিনি আমার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবেন, তোমরাও সাক্ষ্য দিবে, কেননা তোমরা অন্য মানুষের পূর্বে আমার সাথে আছ”। (الفارقليط) মুলত গ্রিক শব্দ (PERIQLYTOS) এর অর্থঃ অধিক প্রশংসার অধিকারী, অর্থাৎ আহমদ বা হামেদ বা অনেক প্রশংসিত, এ অর্থেই আববের নবী মুহাম্মদ সাঃ এর নাম।
তাঁর নবুয়্যাতের আরো প্রমাণ হলোঃ অদৃশ্য জগতের বিষয় সম্পর্কে তাঁর খবর দেয়া, বরং কিছু কিছু অদৃশ্য বিষয় সূক্ষ্ম সুক্ষ্ম বৈশিষ্ট্যসহ বর্ণনা করেছেন। এমনিভাবে কোন কিছু ঘটার পূর্বে সে সম্পর্কে তাঁর সংবাদ প্রদান, এবং তাঁর রিসালাত ও তাঁর আনীত শরিয়তের বিভিন্ন বিধি-বিধানের বৈজ্ঞানিক বিস্ময় তাঁর নবুওতের সত্যতার প্রমাণ।
মাইকেলঃ কোথায়? ......এ সব কোথায়? আমাদেরকে কিছু উদাহরণ দাও।
রাশেদঃ কোরআনে এ ব্যাপারে অনেক আছে, যে কিতাব মুহাম্মদ সাঃ এর উপর নাযিল হয়েছে, ইহাই তাঁর সবচেয়ে বড় মু’জিযা বা বিষ্ময়।
রাজিবঃ তাহলে আমাদেরকে এ কোরআন জানতে হবে, তবে এর মাধ্যমে রাসুলের সত্যতা জানতে পারব এবং এই ধর্মের মূলভিত্তিগুলো জানতে পারব।
রাশেদঃ হ্যাঁ, সঠিক কথা বলেছ, আগামী সাক্ষাতে আমি তোমাদেরকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে উত্থাপন করব।
মাইকেলঃ যাওয়ার আগে আমি একটা বিষয় জানতে চাই, তোমার কাছে যে বই আছে তা কোথায় পাওয়া যাবে?
রাশেদঃ বইটি আমার কাছে অনেক আগ থেকেই আছে, তবে এর নতুন সংস্করণ আমাদের থাকার জায়গার কাছেই একটি লাইব্রেরিতে দেখেছি, আগামী সাক্ষাতের আগে আমরা সে লাইব্রেরীতে যেতে পারি।